জুলাই আন্দোলনে যেভাবে ভূমিকা রাখে শিক্ষক নেটওয়ার্ক

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » জুলাই আন্দোলনে যেভাবে ভূমিকা রাখে শিক্ষক নেটওয়ার্ক
রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫



জুলাই আন্দোলনে যেভাবে ভূমিকা রাখে শিক্ষক নেটওয়ার্ক

জুলাই আন্দোলনে অকুতোভয় ভূমিকা পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। লাগাতার প্রতিবাদ, থানা থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে আনা, দ্রোহযাত্রা এবং শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি- গোটা জুলাইয়ে যাদের সাহস আন্দোলনকে করেছে আরও শক্তিশালী। এমনকি প্রাণভয় নিয়েও ৪ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বলপ্রয়োগ করে হল খালি করা এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয় ১৬ জুলাই। শেখ হাসিনা সরকারের দমনপীড়নের ঘটনায় ঢাবি প্রশাসন এবং শিক্ষক সমিতি যখন ছাত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তখন শিক্ষার্থীদের পক্ষে মাঠে নামেন একদল শিক্ষক। ১৭ জুলাই শাহবাগ থানায় আটকে রাখা দুজন শিক্ষার্থীকে থানা থেকে বের করে আনেন তারা।

অপরাজেয় বাংলায় সমাবেশে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার ঘোষণা দেন তারা। শিক্ষকরা দাবি তোলেন ছাত্র হত্যার বিচারের। তারা বলেন, যাদেরকে বুকে জড়িয়ে ধরার কথা, তাদের বুকে গুলি চালানো হয়। শিক্ষার্থীরা যা চায়, তা-ই হবে।

কারফিউ জারির মধ্যেও অনলাইন এবং অফলাইনে কার্যক্রম চালিয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তুলে নিয়ে গেলে ২৭ জুলাই মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ের সামনে যান শিক্ষকরা।

ঢাবি অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম সময় সংবাদকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন,

রাষ্ট্র যখন বেশি ভয়ংকরভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালানো শুরু করল, তখন আমাদের দায়িত্বটা বেড়ে গেলো। আমরা মনে করলাম, আমাদের আরও সক্রিয় হতে হবে। এরপর ডিবি অফিসে গিয়ে বলেছিলাম, শিক্ষার্থীদেরকে মুক্তি দিতে হবে, তাদের সঙ্গে দেখা করতে দিতে হবে। যদিও তারা দেননি, তবুও এতে শিক্ষার্থীদের প্রাণনাশের ঝুঁকি অনেকটা কমে আসে।

২৯ জুলাই থেকে লাগাতার প্রতিবাদ কর্মসূচি দিতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। ২ আগস্ট প্রেসক্লাব থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত দ্রোহযাত্রার কর্মসূচিতে যোগ দেন হাজারো মানুষ। আন্দোলনের অন্যতম শক্তিশালী এই কর্মসূচির পেছনেও ছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।

ড. কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন,

প্রেসক্লাব থেকে বিশাল এক জনস্রোত হয়েছিল। দ্রোহযাত্রা থেকে মানুষ দাবি তোলে যে ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতায় রেখে ৯ দফা অর্জনের সুযোগ নেই। ফলে তারা দাবি তোলেন যে, সরকারকেই যেতে হবে। এত এত মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, এত এত মানুষ আহত হয়েছে, তাই সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই।

এরপর ৩ আগস্ট লাখো মানুষের সমাগমে এক দফা ঘোষণার পর এই আন্দোলন পরিণতির দিকে যাচ্ছে, উপলব্ধি করতে পারেন সাহসী শিক্ষকরা। শেখ হাসিনা পালানোর একদিন আগে ৪ আগস্ট তারা ঘোষণা করেন অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা।

মারুফুল ইসলাম বলেন,

দ্রুতই যে পরিবর্তনের দিকে যাবে, সেই বিষয়ে সন্দেহ ছিল না। তখন আমরা ভাবলাম, পরিবর্তন যে হবে, সেটা কীভাবে হবে? পরিবর্তনের পর কীভাবে সেটাকে আমরা ম্যানেজ করব? তাই সেই বিষয়গুলো চিন্তা করে আমরা ভাবলাম যে একটা পথরেখার ধারণা দিতে পারি কি-না। তখন ৪ তারিখে আমরা একটা অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা প্রকাশ করি।

এই পুরোটা সময় জুড়েই প্রাণনাশের ঝুঁকিতে কেটেছে অকুতোভয় এই শিক্ষকদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:২৫:২২   ১০০ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


বন্দরে দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
ফতুল্লায় দূষণকারী প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
পূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে করতে সরকার বদ্ধপরিকর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সিদ্ধিরগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৩ জন গ্রেপ্তার
ইজিবাইক চালক ও শিক্ষার্থী ঘটনায় তদন্তের পর ব্যবস্থা: ডিসি
ইজিবাইক চালক ও শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ, আহত ১২
ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার
চাঁদাবাজির অভিযোগে ১২ হিজড়া গ্রেপ্তার
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপি’র বৈঠক
সংস্কৃতি উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ