নেপালের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হবে

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » নেপালের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হবে
রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫



নেপালের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হবে

নেপালের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এছাড়া বিনিয়োগের জন্য ৮টি সংস্থাকে একই ছাতার নিচে আনার সিদ্ধান্ত এবং প্রতি ৩ মাস পরপর বেজা ও বিডার গভর্নিং বোর্ডের বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আজ রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৫’ এর অর্জন নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন শেষে এসব কথা জানান বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বিডার হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট নাহিয়ান রহমান রচি এবং প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচবি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

বিডা চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে যদি কেউ বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসেন (বাংলাদেশি কেউ) তাকে কোনোভাবে প্রণোদনা দেওয়া যায় কি না বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া বেজা, বিডা-সহ অনেক সংস্থার এক দরজায় সেবা (ওএসএস) রয়েছে। এদেরে মধ্যে অনেক সংস্থার ওএসএসের অনলাইন আবেদনের পাশাপাশি অফলাইনে আবেদনের সুযোগ আছে। আজ প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন, যে-সব সংস্থার অনলাইন সেবার সুযোগ রয়েছে তাদের ম্যানুয়াল সেবা পদ্ধতি এক মাসের মধ্যে বন্ধ করে দিতে হবে। এছাড়া ওএসএস মিলিয়ে একটি একক (সিঙ্গেল) পোর্টাল করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরকে ঘিরে ফ্রি ট্রেড জোন তৈরি এবং এর সুবিধা যাতে উজানের দেশ নেপাল, ভুটান এবং চীন পায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত কর্তৃক ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করায় আমাদের জন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে। কারণ গাজীপুরে যে পণ্য তৈরি হয় তা সড়ক পথে ট্রাকে করে কলকাতা কিংবা দিল্লি বিমান বন্দর দিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। সেটার ট্রাকের যে ভাড়া হয় সেটি আমরা পাই না। এখন এটি বন্ধ হওয়ায় আমাদের সিলেট, ঢাকা, চট্টগ্রাম কিংবা সৈয়দপুর বিমান বন্দরের উন্নয়ন করার একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে।

এছাড়া সভায় বিগত সরকারের সময় অপ্রয়োজনীয় ও অপরিকল্পিতভাবে অনুমোদিত হওয়ায় ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ১০টি জোন হলো- সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক (কক্সবাজার), বাগেরহাটের সুন্দরবন ট্যুরিজম পার্ক, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল, গাজীপুরের শ্রীপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল, মুন্সিগঞ্জের গার্মেন্টস শিল্প পার্ক, সুনামগঞ্জের ছাতক ইকোনমিক জোন, বাগেরহাটের ফমকম ইকোনমিক জোন, সিটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন (ঢাকা) এবং নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও অর্থনৈতিক অঞ্চল।

বৈঠক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আগামীতে অর্থনৈতিক জোন করার সময় আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে জোন গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সেখানে সকল ইউটিলিটি সংস্থাকে যুক্ত করতে হবে। তাদের কমিটমেন্ট থাকতে হবে যে, এসব জোন ঘোষণা করা হলে তাতে তারা সেবাগুলো দিতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১:৪২:৩৮   ১৪৯ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


আল কোরআন ও আল হাদিস
মব সহিংসতা গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলছে: রিজভী
সরকারের গানম্যান প্রত্যাখ্যান করলেন নুরুল হক নুর
মাঠপর্যায়ে নির্বাচনের উদ্বুদ্ধকরণ প্রচার জোরদারে জেলা তথ্য অফিসারদের প্রতি তথ্য উপদেষ্টার নির্দেশ
সেই দিপু দাসের স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস জেলা প্রশাসকের
‘গণ-অভ্যুত্থানের বিজয় হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে’
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
বন্দরে দিনে-দুপুরে ফ্ল্যাটে চুরি, আটক ১
তিন ঘণ্টা পর চাষাঢ়া থেকে সরলেন রাসেল গার্মেন্টসের শ্রমিকরা
সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন: ডিসি

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ