
যশোরের চৌগাছায় ধর্ষণের শিকার এক শিশুর চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও নারী-শিশু নির্যাতন সহায়তা সেলের সমন্বয়ক ডা. রফিকুল ইসলাম যশোর জেনারেল হাসপাতালে শিশুটিকে দেখতে গিয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানের নির্দেশে সারাদেশে নির্যাতিত নারী ও শিশুদের চিকিৎসা ও আইনি সহায়তা দেয়া হচ্ছে। শিশুটির সার্বিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বিএনপির নেতাকর্মীরা কাজ করছেন।’
গত ১১ জুন বিকেলে প্রতিবেশী মিজানুর রহমান শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যাচেষ্টা চালায়। মারাত্মক রক্তক্ষরণ অবস্থায় শিশুটিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ঈদের ছুটির মধ্যেও অস্ত্রোপচার করা হয়। বর্তমানে সে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে এক লাখের বেশি নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা ঝুলে আছে। বিএনপির লিগ্যাল এইড ও চিকিৎসা সেল এসব বিষয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।’
খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত জানান, শিশুটিকে প্রথম হাসপাতালে নেয়ার কাজটিও করেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা। বর্তমানে আইনগত সহায়তাও দিচ্ছে দলীয় লিগ্যাল সেল।
শিশুটির মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘বিএনপি নেতারা আমার মেয়ের পাশে সবসময় ছিলেন। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। ধর্ষকের ফাঁসির দাবি জানাই।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও যশোর চেম্বার সভাপতি মিজানুর রহমান খান, ড্যাবসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:২৮:০৫ ৫২ বার পঠিত