
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার বলেছেন, ২০২৬ সালের ১লা জানুয়ারি তারিখে নির্ভুল পাঠ্যবই ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। পাঠ্যবই ছাপানোর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে অতীতের ভুলভ্রান্তিগুলো সংশোধন করে ছাত্রছাত্রীদের হাতে যথাসম্ভব নির্ভুল পাঠ্যবই তুলে দেওয়া যায়।
আজ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সভাকক্ষে শিক্ষা উপদেষ্টার সভাপতিত্বে শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন সংক্রান্ত এক বিশেষ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, এনসিটিবির সহায়তায় সংগ্রহকৃত ২০২৫ সালের পাঠ্যপুস্তকসমূহে বানান ও ব্যকরণগত ভুল, ছাপার অসংগতি, তথ্যের বিভ্রাট পরিলক্ষিত হয়। সেই প্রেক্ষিতে শিক্ষাক্রমে বিদ্যমান ১২৩টি পাঠ্যপুস্তক ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে আলাদা আলাদা বিশেষজ্ঞদের প্যানেল দ্বারা সংশোধন ও পরিমার্জন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পরবর্তিতে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রাপ্ত মতামত এনসিটিবি কর্তৃক যাচাই-বাছাই ও সংশোধন করে ছাপানোর কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা হলো বৈষম্য দূর করার হাতিয়ার। এই কাজে জনসম্পৃক্ততা প্রয়োজন। সবার সুচিন্তিত মতামত ও বুদ্ধিবৃত্তিক অংশগ্রহণ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করতে পারে। সে লক্ষ্যে সারা দেশের সকল শিক্ষকবৃন্দের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি। তৎপ্রেক্ষিতে, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সম্পৃক্ত করার ব্যাপারেও সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে সারা দেশের সকল শিক্ষকবৃন্দ বিদ্যমান ২০২৫ সালের পাঠ্যপুস্তকের বানান ও ব্যকরণগত ভুল, ছাপার অসংগতি, তথ্যের বিভ্রাট সম্পর্কে নির্ধারিত ফরমে, সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্ধারিত ই-মেইলে তাদের মতামত প্রদান করতে পারবেন। অনতিবিলম্বে এনসিটিবি শিক্ষকদের মতামত প্রদানের সুযোগ তৈরীর বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করেন এমন শিক্ষকদের মতামত নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। সময় নিয়ে, লাইন বাই লাইন দেখে, আলোচনা করে এটি করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি গণিত ও রসায়নের ক্ষেত্রে সর্বাধুনিক ভার্সনের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান সভায় জানান, ইতোমধ্যে কিছু বই পরিবর্তন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া বলেন, প্রতিটি বই রিভিউ করতে হবে, এর জন্য সময় নির্ধারণ করতে হবে এবং পুনঃপর্যালোচনা করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর গোলাম দস্তগীর কাজী বলেন, ইংরেজি টার্মগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:২৪:০৮ ১০ বার পঠিত