
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ইউনিয়নের পূর্ব লালপুরের ‘পাকিস্তানি খাদ’ এলাকার ২৬টি পরিবার দীর্ঘদিনের মৌলিক নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। রাস্তা, গ্যাসসহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা না থাকায় চরম দুর্ভোগে রয়েছে এই এলাকার বাসিন্দারা। তবে, সোমবার (৭ জুলাই) জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে নতুন করে স্বপ্ন দেখছে এই পরিবারগুলো। জেলা প্রশাসক তাদের সব সমস্যা শুনে দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, এই ‘পাকিস্তানি খাদ’ নামটি নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় পর্যায়ে বেশ পরিচিত। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালের পূর্বে ২৬টি পরিবার তুলা চাষের জন্য পাকিস্তানে গিয়েছিল। পরবর্তীতে, সে দেশের সরকার তাদের আবার বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু তারা তাদের সহায়-সম্পদ সেখান থেকে ফেরত আনতে পারেননি। এরপর ১৯৭৪ সালে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এবং সরকারের সহায়তায় এই ২৬টি পরিবারকে ফতুল্লার একটি অঞ্চলে বসবাসের সুবিধা দেওয়া হয়, যা বর্তমানে ‘পাকিস্তানি খাদ’ নামে পরিচিত। যদিও এই খাদের বাসিন্দারা বাঙালি, তবুও অনেকেই তাদের ‘পাকিস্তানি’ হিসেবে জানেন।
এই এলাকার প্রধান সমস্যা হলো যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশা। এখানে কোনো পাকা রাস্তা নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকাটি নিচু হওয়ায় সরকার একসময় পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি পাইপ বসিয়েছিল, যা সামান্য চলাচল পথটুকুও বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে এখানকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
সোমবার (৭ জুলাই) এই দীর্ঘদিনের সমস্যা নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করেন। জেলা প্রশাসক তাদের সবার সাথে ধৈর্য ধরে কথা বলেন এবং মনোযোগ দিয়ে সব সমস্যা শোনেন। তিনি উপস্থিত প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করে বলেন, তিনি দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন।
জেলা প্রশাসক আরও জানিয়েছেন, সেখানকার জনগণের সুবিধার জন্য তিনি অতি দ্রুত রাস্তার ব্যবস্থা করবেন এবং পানির পাইপটি মাটির নিচ দিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন।
এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়িয়ে এই সমস্যা নিরসনে সহযোগিতা করেছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা এনসিপির সদস্য জোবায়ের হোসেন ও লুবনা রহমান, মতিউর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী রাহাত এবং এনসিপির শ্রমিক উইং এর শাহাবুদ্দীন সাহাব।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১১:১২ ৭ বার পঠিত