
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার আর্থিক সহায়তা পেলেন নারায়ণগঞ্জের চার বাসিন্দা। তারা হলেন, সদর উপজেলার মধ্য সনাপুর এলাকার বিধবা মোছা. সাবরিনা বেগম, ফতুল্লার একটি পোশাক কারখানার সাবেক বাণিজ্যিক কর্মকর্তা জামাল আহমেদ, ফতুল্লার মাসদাইর এলাকার ছাত্র আন্দোলনে আহত যুবক আব্দুস ছালাম মুন্না ও বন্দরের চিতাশাল সল্পেরচক এলাকার বয়োবৃদ্ধ মো. বাবুল।
সদর উপজেলার মধ্য সনাপুর এলাকার বিধবা মোছা. সাবরিনা বেগম চার বছর আগে স্বামী হারিয়ে তিন কন্যাসন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সম্প্রতি বড় মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব আসলে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান তিনি। শেষ আশ্রয় হিসেবে যান জেলা প্রশাসকের কাছে। তাঁর দুঃখের কথা শুনে ডিসি তাৎক্ষণিক আর্থিক সহায়তা দেন এবং ছোট দুই মেয়ের পড়াশোনা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন।
ফতুল্লার একটি পোশাক কারখানার সাবেক বাণিজ্যিক কর্মকর্তা জামাল আহমেদ গত বছরের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে চাকরি হারান। তার চার মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে, যা এখনো পরিশোধ করেনি মালিকপক্ষ। পরিবার নিয়ে দুঃসহ অবস্থায় থাকা জামাল জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে নিজের দুর্দশার কথা জানান। ডিসি তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে আর্থিক সহায়তা দেন।
২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের সময় ফতুল্লার মাসদাইর এলাকার যুবক আব্দুস ছালাম মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। এখনও তার শরীরে গুলি রয়ে গেছে। চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনে অক্ষম মুন্নার পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। তার চিকিৎসার জন্যও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
অন্যদিকে, বন্দরের চিতাশাল সল্পেরচক এলাকার বয়োবৃদ্ধ মো. বাবুল চোখের জটিল সমস্যায় ভুগছিলেন। চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে না পেরে তিনি জেলা প্রশাসকের সহায়তা চান। জেলা প্রশাসক অপারেশনের খরচ বাবদ তাকে সহায়তা প্রদান করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৫:৩৮ ১০ বার পঠিত