
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরসহ পুরো দেশে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
‘নোটস অন জুলাই’ পোস্টকার্ডের মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশের সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতা লিখে রাখার কাজ শুরু করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার শহীদ মিনারে আয়োজিত ‘জুলাই ওমেন্স ডে’ অনুষ্ঠানে ৭৪২টি পোস্টকার্ডে জনগণের মতামত সংগ্রহের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের অন্তত ৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনতার কাছ থেকে পোস্টকার্ডে অভিজ্ঞতা ও মতামত সংগ্রহ করেন।
এ ছাড়া জেলা তথ্য কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে কার্যক্রমটি এগিয়ে নেওয়ার জন্য ঢাকার বাইরের প্রত্যেক জেলা প্রশাসককে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলম জানান, সারা দেশে জুলাই গণআন্দোলনে যারা অবদান রেখেছেন তাদের পাশাপাশি প্রতিটি জেলার স্কাউট ও গার্লস গাইডের সদস্যদেরও এ কাজে যুক্ত করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশজুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া জনসাধারণের কাছ থেকে মতামতগুলো সংগ্রহ করা হবে। অর্থাৎ জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষ্যে সারা দেশে যত অনুষ্ঠান হবে, সেখানে উপস্থিত জনতার কাছে কার্ডগুলো উপস্থাপন করা হবে। তারা তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও অনুভূতিগুলো সংক্ষেপে লিখে দেবেন। পরে কার্ডগুলো সংগ্রহ করে ঢাকায় জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণাগারে রাখা হবে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-২ অধিশাখার উপসচিব সালমা হাসনাইন স্বাক্ষরিত চিঠিটি ইতোমধ্যে ৬১ জন জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে ‘নোটস অন জুলাই’ শিরোনামে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নির্বাচিত ছবি দিয়ে তৈরি পোস্টকার্ড বিতরণের বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, স্বেচ্ছাসেবকরা জনসমাগমের গিয়ে পোস্টকার্ড বিতরণ করবেন। সেগুলোতে জনগণ তাদের অভিজ্ঞতা বা অনুভূতি লিখে ফেরত দেবেন। পরে স্বেচ্ছাসেবকরা প্রয়োজনীয় অংশ পূরণ করে জেলা তথ্য অফিসে জমা দেবেন।
আরো বলা হয়েছে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রস্তুত পোস্টকার্ডগুলো জেলা তথ্য অফিসারদের কাছে ইতোমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। তারা জেলা প্রশাসকের সমন্বয়ে স্কাউট ও গার্লস গাইডের স্বেচ্ছাসেবক কর্মীদের নিয়ে বিষয়টি বাস্তবায়ন করবেন। প্রতিটি জেলার জনসমাগম বা অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে লিখিতভাবে জেনগণের অভিজ্ঞতা ও মতামত নেবেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা জুলাই পুনর্জাগরণের জাতীয় অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নিয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব জানান, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে এই আয়োজন হবে আরো বড় পরিসরে। এজন্য ওই তিন জেলা প্রশাসককে আলাদা নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
জেলাগুলোতে ২৪ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরাও তাদের অভিজ্ঞতা পোস্টকার্ডে লিখবেন এবং জনসাধারণের মতামত সংগ্রহে সহায়তা করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪০:২৭ ৯ বার পঠিত