
ফরিদপুরে শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বাসস্ট্যান্ড এলাকা। এতে অন্তত ১০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের পর সাধারণ শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ করে দেন।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ফরিদপুর মোটর ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের একটি পক্ষ অভিযোগ করে, অধিকাংশ ভোটারকে বাদ দিয়ে গোপনে নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে। এ নির্বাচনের প্রতিবাদে ও আয়োজকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে তারা মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মানববন্ধন শুরুর কিছুক্ষণ পর অপরপক্ষ এসে ব্যানার কেড়ে নিয়ে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে উপস্থিত হয় এবং অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়।
সংঘর্ষে আহত অন্তত ১০ জন শ্রমিককে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে।
সংগঠনের সাধারণ শ্রমিক এবং সাবেক নেতারা জানান, শ্রমিক ইউনিয়নের ৫ হাজার ৭০০ সদস্যের মধ্যে মাত্র ১ হাজার ২ জনকে ভোটার দেখিয়ে একপক্ষীয়ভাবে আগামী ২৫ জুলাই নির্বাচন ঘোষিত হয়। তফসিল ছাড়াই গত ১৭ জুলাই সব প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার।
এক শ্রমিক বলেন, ‘আমাদের অজ্ঞাতে গোপনে নির্বাচন করা হয়েছে। কোনো তফসিল বা ভোটার তালিকা প্রকাশ ছাড়াই এটি অবৈধভাবে করা হয়েছে। এর প্রতিবাদ করতেই মানববন্ধন, কিন্তু সেখানেও হামলা হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানাই।’
অপরদিকে সদ্য নির্বাচিত সভাপতি ইয়াছিন মোল্যা বলেন, ‘মানববন্ধনকারীরা আওয়ামী লীগের দোসর। তারা এখনও চাঁদাবাজি করছে। আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। তারা নির্বাচন ব্যর্থ করতে এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে।’
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, ‘শ্রমিকদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দ্রুত বাস চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।’
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩১:৪৭ ১১ বার পঠিত