
জামালপুর প্রতিনিধি : যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (জেএফসিএল) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চুক্তিবদ্ধ কার্যক্রমে ইচ্ছাকৃত গড়িমসির অভিযোগ এনেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল-মমিন আউটসোর্সিং সার্ভিসেস লিমিটেড।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমিনুল ইসলাম দাবি করছেন, জেএফসিএলের উপ-মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন এডমিন) মো. দেলোয়ার হোসেন একটি স্বার্থান্বেষী মহলকে সুবিধা দিতে চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়ায় দেরি করছেন।
জানা গেছে, জেএফসিএলে দৈনিক ভিত্তিক শ্রমিক সরবরাহের জন্য উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে মেসার্স আল-মমিন আউটসোর্সিং সার্ভিসেস লিমিটেডকে সেরা দরদাতা হিসেবে নির্বাচন করা হয়। গত ২৯ জুলাই, ২০২৫ তারিখে প্রতিষ্ঠানটিকে নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড (NOA) দেওয়া হয়।
এই নোটিফিকেশন অনুযায়ী, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ থেকে দুই বছরের জন্য প্রতিষ্ঠানটি কারখানায় শ্রমিক সরবরাহ করবে। একই সঙ্গে, চুক্তি স্বাক্ষরের পূর্বশর্ত হিসেবে ১৪ কার্যদিবসের মধ্যে ৫ লাখ টাকার পারফরম্যান্স সিকিউরিটি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন এবং পারফরম্যান্স সিকিউরিটিও প্রস্তুত। তবে জেএফসিএলের প্রশাসন বিভাগের গড়িমসির কারণে চুক্তি স্বাক্ষর ও কাজ শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। এতে তারা আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।
মেসার্স আল-মমিন আউটসোর্সিং সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমিনুল ইসলাম বলেন, “আমরা নোটিফিকেশন পাওয়ার পর সব নিয়ম মেনে প্রস্তুতি নিয়েছি। কিন্তু জেএফসিএলের উপ-মহাব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেন অযথা দেরি করছেন। এতে প্রভাবশালী মহলের ইন্ধন থাকতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।”
তবে এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেএফসিএলের উপ-মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “আমরা আদালতের জিপির মতামতের জন্য অপেক্ষা করছি। ২০ আগস্টের মধ্যে মতামত পাওয়া গেলেই চুক্তি সম্পন্ন করা হবে। প্রক্রিয়া চলমান আছে এবং এখানে কোনো গড়িমসি হচ্ছে না।”
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, চুক্তিপত্র যথাসময়ে সম্পন্ন না হলে একদিকে কারখানার স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে, অন্যদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে। তারা দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৪০:৫০ ৫১ বার পঠিত