
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভাব অনেক বেশি বেড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদের উদ্যোগে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ৫৬তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গয়েশ্বর বলেন, যারা পিআর চায় তারা কখনোই জনগণের সঙ্গে ছিল না। ৭১-এ স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে জামায়াত। রাজাকার, স্বৈরাচার, বাকশাল এই তিনটা শব্দ মানুষের কাছে ঘৃণিত। যত সংস্কার হোক জামায়াত ভালো হবে না। তাদের ভাব অনেক বেশি বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, জামায়াত নির্বাচন ভণ্ডুল করার জন্য যথেষ্ট। সচিবালয়ে সব জামায়াত। এত জামায়াত কোত্থেকে এলো। হাসিনা কি জামায়াত পালতো? দেশে অফিস খুলতে না পারলেও আওয়ামী লীগ কলকাতায় অফিস খুলেছে। আওয়ামী লীগের জন্ম পাকিস্তানে।
গয়েশ্বর বলেন, জিয়া ৯ মাস যুদ্ধ করেছিলেন দেশের ভেতর থেকে। বাকিরা ছিলেন সীমান্তের ওপারে। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াও পালাননি। আমরা লুকিয়েছিলাম কিন্তু পালাইনি। আমরা গেরিলার মতো যুদ্ধ পরিচালনা করেছি ও কর্মীদের পথ দেখিয়েছি। শেখ মুজিবের পালানোর অভ্যাস আছে। শেখ হাসিনাও সেই অভ্যাসটাই পেয়েছে। ১৭ তারিখ হাসিনা এলো আর ৩০ তারিখ জিয়া মারা গেল, হাসিনা পালাতে গেল। জিয়ার মৃত্যুর সঙ্গে যে হাসিনার সম্পর্ক নাই তা বলা যায় না।
তিনি বলেন, ১/১১’র সময় শুধু চিকিৎসার জন্য কোকো বিদেশ যেতে চেয়েছিলেন। কোকো রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার, ও রাজনীতি করতো না, খেলাধুলা নিয়ে থাকতো। কোর্টে হাজিরা দিতে যেত শ্বাসকষ্ট নিয়ে। অনেকে বলে জিয়া পরিবার শেষ করে দিতে। কিন্তু মূর্খরা বোঝে না এটা সম্ভব না। আমরা পয়সা খরচ করে জিয়ার প্রচারণা করিনি। জিয়ার নাম মানুষের মুখেমুখে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:০৪:৫২ ৯ বার পঠিত