
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র ভোলাগঞ্জে পাথর লুটের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে বিভিন্ন দপ্তর। বুধবার সকালে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সিলেটে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি পাথর লুটের নেপথ্যে কারা রয়েছে; তা অনুসন্ধান করতে সাদাপাথর এলাকা পরিদর্শন করেছে দুদক সিলেট সমন্বিত কার্যালয়ের একটি দল।
জেলা প্রশাসনের অভিযানে সাদাপাথর লুট করে মজুদ রাখা কালাইরাগ ও দয়ার বাজার এলাকা থেকে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়। এ সময় পাথর বহনকালে একটি ট্রাক্টর ও ফেলুডার মেশিন বিকল করে আভিযানিক দলটি। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহমুদ আশিক কবির।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ সমকালকে বলেন, সাদাপাথর ইস্যুতে আজ রাতে বৈঠক হচ্ছে। একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সাদাপাথর লুট বিষয়ে তদন্ত করবেন। আগামী রোববারের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবেন।
এদিকে আজ বুধবার বিকেলে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকের সংখ্যা নেই বললেই চলে। লুট করা স্থানগুলোতে বালু বের হয়ে আছে। ঘুরতে আসা সীমিত সংখ্যক পর্যটকরা পাথর লুটের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। এ সময় দুদকের একটি দলকেও সেখানে পরিদর্শন করতে দেখা যায়।
দুদক সিলেটের উপপরিচালক রাফি মোহাম্মদ নাজমুস সাদাত বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে লুটের বিষয়টি অনুসন্ধান করতে এসেছি। কারা জড়িত এবং তাদের মদদ কারা দিচ্ছেন, সেই বিষয়টি অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
২০১৭ সালে দেশজুড়ে পরিচিতি পাওয়া সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রের অবস্থান কোম্পানীগঞ্জের ধলাই নদীর উৎসমুখে সীমান্তঘেঁষা ভোলাগঞ্জে। সেখানকার পাথরের স্তূপ, সাদাপাথর ও পাথরের ওপর দিয়ে বহমান পানি পর্যটকদের টেনে নেয়। সরকার পতনের পর গত এক বছর ধরে বিচ্ছিন্নভাবে সেই পাথর লুট শুরু হয়। সম্প্রতি দলবেধে নৌকাযোগে শতশত শ্রমিক পাথর উত্তোলন শুরু করে। পর্যটনকেন্দ্রের পূর্ব-দক্ষিণ দিকে বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি খুঁড়ে পাথর লুট করে তারা। মূল অংশ থেকেও বড় পাথরগুলো লুট করা হয়। ফলে পাথরের পরিমাণ কমে যাওয়ার পাশাপাশি সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে পর্যটন কেন্দ্রটি।
 বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৬:৪২   ১০৬ বার পঠিত