
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করলে আওয়ামী লীগ এবং তার ঘনিষ্ঠজনরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা পাবে। এবং হাসিনার বিচার আরো বেশি ত্বরান্বিত হবে। বিদেশে যে টাকা পাচার করা হয়েছে, তা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। এই ভূমিকাগুলো একমাত্র পালন করতে পারে নির্বাচিত সরকার।”
রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) উদ্যোগে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, “হাসিনাতন্ত্রের পতন হয়েছে প্রায় এক বছরের অধিক কাল। কিন্তু প্রত্যাশিত গণতন্ত্রের উত্তরণের যে বিষয়টি ছিল সেটি এখনো পর্যন্ত সম্পূর্ণ হয়নি। আমরা ১৫ থেকে ১৬ বছরে তিনটি নির্বাচন দেখেছি। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছাধীনে তার নির্বাচন কমিশনে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যে নির্বাচন কোনোভাবেই গণতন্ত্রের পক্ষে তো যায়নি, বরঞ্চ গণতন্ত্র বিনাশি ভূমিকায় পালন করেছে।”
তিনি বলেন, “স্বৈরাচারের পতনের পর মানুষ তার পছন্দের প্রার্থী, মার্কা এবং দলের পক্ষে ভোট দিতে চায়। কিন্তু লক্ষণীয় বিষয়—সরকার তার এক বছরের অধিক কাল এই দায়িত্বটি এখনো পালন করতে পারেনি। আবার কোনো কোনো মহল নানান বক্তব্য এবং কর্মসূচি দিয়ে সেটি (বিভিন্ন দাবি দাওয়া) আগে সম্পূর্ণ করতে হবে এই দাবি দিয়ে, নির্বাচনের বিরোধিতা করছে।”
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, “আমি মনে করি কোনো রাজনৈতিক দল, তার কর্মসূচি ভালোবাসে বলেই সেই দল করে। কিন্তু সেই কর্মসূচি যদি প্রতিষ্ঠিত করতে হয়, তাহলে জনগণের কাছে গিয়ে সেই ম্যান্ডেট নিয়ে আসতে হবে। এবং সরকার গঠন করতে হবে। তারপর তারা নিজেদের কর্মসূচি প্রতিষ্ঠা করবে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, কিছু কিছু রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠার পর কখনো জাতীয় সংসদে একটা সিটও পায়নি। এখন তারাও বলছে, তাদের মতো করে সরকারকে কাজ করতে হবে। এটা হাস্যকর। এটা চাপিয়ে দেওয়ার মত একটা ঘটনা।”
তিনি বলেন, “আমি মনে করি, সরকারের উচিত হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে যে নির্বাচনের কথা বলেছে, যে রোডম্যাপ সরকার দিয়েছে, সে অনুযায়ী নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। এবং সেই নির্বাচন হলে আমি মনে করি বাংলাদেশের সবথেকে হাসিনা বিরোধী যে ভূমিকা পালন করেছে সেটি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। তার সাথে অন্যান্য দলও ভূমিকা পালন করেছে। আগামী দিনে নির্বাচন হলে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ধানের শীষ এবং বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।”
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, “বিএনপি যদি জয়লাভ করে, আওয়ামী লীগ এবং তার সাথে যারা ঘনিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর সাথে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে । গণতন্ত্র উত্তরণ হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা পাবে। এবং হাসিনার বিচার আরো বেশি ত্বরান্বিত হবে। বিদেশে যে টাকা পাচার করা হয়েছে, তা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। এই ভূমিকাগুলো একমাত্র পালন করতে পারে নির্বাচিত সরকার।”
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন কৃষকদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদি, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৫:৫৯ ৯ বার পঠিত