অনলাইনে জুয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার শাস্তির কথা জানিয়েছে সরকার।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় জানায়, অনলাইনে জুয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার শাস্তি হবে ২ বছরের কারাদণ্ড। এসব অপরাধে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা জরিমানা অথবা দায়ী ব্যক্তি উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
এতে আরও জানানো হয়, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫-এর ২০ ধারা অনুযায়ী এসব শাস্তির বিধান রয়েছে। বাসস।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে জুয়ার সঙ্গে জড়িত প্রায় ১ হাজারের বেশি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির বরাত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, সাইবার স্পেসে জুয়া খেলা নিষিদ্ধ। সরকার সাইবার স্পেসে জনস্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে নতুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ২০ ধারা অনুসারে জুয়া খেলা এবং জুয়া খেলার সঙ্গে জড়িত সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে। এই আইন অনুসারে সাইবার স্পেসে জুয়া খেলার জন্য কোনো পোর্টাল/অ্যাপস/ডিভাইস তৈরি/পরিচালনা করা, জুয়া খেলা, খেলায় সহায়তা বা উৎসাহ প্রদান বা উৎসাহ প্রদানের জন্য বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রচার বা বিজ্ঞাপনের সঙ্গে জড়িত থাকাকে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
২১ এবং ২২ ধারা অনুযায়ী জুয়া খেলার জন্য কোন ফাইনানশিয়াল ট্রানজেকশন, জুয়া খেলা বিষয়ে কোন প্রতারণা বা জালিয়াতি করাকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জুয়া খেলা নিয়ে উৎসাহ প্রদান বা বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার কারণে বাংলাদেশের কোন নাগরিকের জুয়া খেলা নিয়ে কোন বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কোনো নাগরিক বা মিডিয়া ব্যক্তিত্ব যদি মনে করেন তার অনুমতি ব্যতিরেকে জুয়া খেলার ওয়েবসাইট/পোর্টালে তার ছবি/ভিডিও ব্যবহৃত হচ্ছে তাকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৮:২৫ ২১ বার পঠিত