জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের শাখা দশআনি নদীর ভাঙনে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। গত কয়েক দিন ধরে বন্যার পানি কমতে থাকলেও ভাঙনের তীব্রতা কমেনি। এর ফলে পূর্ব হরিণধরা ও লক্ষ্মীপুর গ্রামের প্রায় ২০টি বাড়ি এবং ৫-৬ একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসা, তিনটি মসজিদ এবং দুটি হাটবাজার।
ভাঙনের কবলে পড়ে সর্বস্বান্ত লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, গত বছর নদীর একপাশে ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ফেলা হলেও তাদের দিকে কোনো কাজ হয়নি।
পূর্ব হরিণধরা গ্রামের বাসিন্দা হাসেম আলী বলেন, “নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন তীব্র হয়েছে। রাতে আমরা আতঙ্কে থাকি, কখন কার ঘর নদীতে বিলীন হয়ে যায়।” তিনি সরকারের কাছে লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাম তীরে স্থায়ীভাবে নদীভাঙন রোধের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
লক্ষ্মীপুর গ্রামের হান্নান মিয়া বুকভরা বেদনা নিয়ে বলেন, “আমরা ত্রাণ চাই না, আমরা নদী শাসন চাই। কত মানুষ এসে আশা দিয়ে গেল যে নদী আর ভাঙবে না, কিন্তু তারা চলে যাওয়ার পর ভাঙন আরও তীব্র হয়।” তিনি আরও জানান, একসময় তারা ধনী থাকলেও এখন পথের ফকির হয়ে গেছেন।
চর গোয়ালিনী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, গত এক মাসে অন্তত ২০টি বাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে নদীর ভাঙন দেখে এলাকার মানুষ দিশাহারা হয়ে পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদুর রহমান সম্প্রতি ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গেই স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে তিনি আশা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৬:২০ ১৮ বার পঠিত