
ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭৬১ গ্রাম স্বর্ণালংকারসহ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কর্মীসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। তারা হলেন- বেবিচকের বোর্ডিং ব্রিজ অপারেটর মো. কবির হোসেন (৫৩) ও তার সহযোগী মো. কুদ্দুছ (৪১)।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এপিবিএন।
সংস্থাটি জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া দুইটার পর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহির্গমন ১ নম্বর টার্মিনালের ৩ নম্বর গ্লাস ফটকের সামনে বেবিচককর্মী কবির হোসেন গোপনে কুদ্দুছকে একটি ছোট হাতব্যাগ দেওয়ার সময় উপস্থিত যাত্রী ও সহযাত্রীদের মধ্যে সন্দেহ হয়। এ নিয়ে সেখানে গোলযোগের সৃষ্টি হয়।
এ সময় এপিবিএন সদস্যরা কবির ও কুদ্দুছকে টার্মিনালে আসার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করলে দুজনই সন্দেহজনক উত্তর দিতে থাকে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের এপিবিএনের বিমানবন্দর কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। একপর্যায়ে তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে তিনটি নীল রঙের ছোট ব্যাগের ভেতর থেকে চারটি গোল্ডবার, অন্যান্য স্বর্ণালংকারসহ মোট ৭৬১ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে এপিবিএন কর্মকর্তাদের এ দুজন বলেন, উদ্ধার করা স্বর্ণালংকার অজ্ঞাতনামা যাত্রীর মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের উদ্দেশ্যে আনা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন বিমানবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত এবং তারা ‘রিসিভার’ হিসেবে কাজ করে আসছেন। আজ সকালে তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। দুজনকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এপিবিএনের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, বিমানবন্দর এলাকায় চোরাচালান রোধ ও অন্যান্য অপরাধ দমনে নিয়মিতভাবে সতর্ক দৃষ্টি রাখছি। যেকোনো ধরনের চোরাচালান প্রতিরোধে আমাদের আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগিব সামাদ সমকালকে বলেন, স্বর্ণপাচারের ঘটনায় পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার বিমানবন্দর বোর্ডিং ব্রিজ অপারেটর কবির হোসেনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। বিমানবন্দরে ডিউটির নামে কোনো প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতি প্রশ্রয় দিবে না কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪৬:৩৫ ৩০ বার পঠিত