সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

সন্ত্রাস দিয়ে জনসমর্থন দমন করা যাবে না: এ. কে. আজাদ

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সন্ত্রাস দিয়ে জনসমর্থন দমন করা যাবে না: এ. কে. আজাদ
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫



সন্ত্রাস দিয়ে জনসমর্থন দমন করা যাবে না: এ. কে. আজাদ

চাঁদাবাজি ও পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করার কারণেই পরমানন্দপুরে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন ফরিদপুর-৩ আসনে সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ. কে. আজাদ। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস দিয়ে কখনও জনসমর্থন দমন করা যায়না।’ তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়েই হামলা চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রোববার ফরিদপুর সদর উপজেলার পরমানন্দপুরে গণসংযোগের সময় যুবদলের হামলার বিষয়ে আজ সোমবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন এ. কে. আজাদ।

এর আগে রোববার বিকেলে পরমানন্দপুরে এ. কে. আজাদের গণসংযোগ চলাকালে হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় যুবদলের নেতাকর্মীরা এই হামলায় জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

এমন হামলার ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা উল্লেখ করে এ. কে. আজাদ বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করেই ২০২৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলাম। এখনও জনগণকে সঙ্গে নিয়েই সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করব।’

রোববার বিকেল ৪টার দিকে এ. কে. আজাদ ফরিদপুরের রিদপুর সদরের কৃষ্ণ নগর ইউনিয়নের পমানন্দপুর বাজারে যান। প্রথমে তিনি বাজার সংলগ্ন জামে মসজিদে আসরের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে বাজার এলাকায় গণসংযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, এমন সময় স্লোগান দিয়ে হামলা চালানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গণসংযোগের সময় সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি নান্নু মোল্লার নেতেৃত্বে একটি মিছিল ঘটনাস্থলে আসে। মিছিলকারীরা এ. কে. আজাদকে উদ্দেশ্য করে স্লোগান দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। যুবদলের মিছিলকারীরা ‘অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ স্লোগান দিয়ে এ. কে. আজাদকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করেন। এ সময় তারা নায়াবা ইউসুফের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন।

স্থানীয়রা আরও জানান, ওই সময় নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী এ. কে. আজাদকে ঘিরে রাখে। পরে পুলিশ এসে যুবদলের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। যুবদলের মিছিলকারীদের সঙ্গে তখন পুলিশের তর্ক হয়। পুলিশের অনুরোধে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন এ. কে. আজাদ।

পরে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে এমন সহিংসতার ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। এ ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। গত নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকও এমন আচরণ করেননি। নায়াব ইউসুফের কাছ থেকে এমন আচরণ এলাকাবাসী প্রত্যাশা করে না। এটি রাজনৈতিক সংকটকে ঘণিভুত করবে।’

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪৭:০৭   ৪৩ বার পঠিত