![]()
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় পারিবারিকভাবে বিয়ের পর বাসররাতে নববিবাহিত যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের পিসনাইল গ্রামের একটি আখক্ষেত থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
জানা যায়, নিহতের নাম মো. জামাল ফকির (২৮)। তিনি পিসনাইল গ্রামের মো. রোজব ফকিরের ছেলে। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সেজো।
পরিবারের দাবি, জামাল গলায় গামছা পেঁচিয়ে আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। এদিকে, স্থানীয়রা বলছেন, আখক্ষেতের বেড়ার ওই বাঁশের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করা অসম্ভব।
পরিবার জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে পারিবারিকভাবে পার্শ্ববর্তী নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামের মো. লিটন ভূইয়ার মেয়ে রোকেয়া আক্তারকে (২৩) বিয়ে করেন জামাল ফকির।
বিকেলে কনেকে নিয়ে বাড়িতে আসেন বর। রাতে নবদম্পতি বাসরঘরে শুয়ে ছিলেন।
শুক্রবার সকালে পিসনাইল গ্রামের মাঠে নিজবাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে একটি আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় বর জামালের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় কৃষকরা। পরে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে মরদেহটি নামিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
স্থানীয়রা জানান, গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশে যেভাবে মরদেহ ঝুলে ছিল, তাতে মনে হয় না তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কারণ বাঁশের আড়ার উচ্চতা ছিল ৩ থেকে ৪ ফুট। সেখানে ঝুলে আত্মহত্যা করলে পা মাটিতে মিশে যাবে।
নিহত বরের স্ত্রী রোকেয়া বলেন, ‘আজ সকালে মানুষের চিৎকার শুনে দরজা খুলতে গেলে দেখি দরজার বাইরে শিকল লাগানো। পরে প্রতিবেশীরা দরজা খুলে দিলে দেখি আমার স্বামীর মরদেহ জমির মধ্যে পড়ে আছে।
নিহতের বড় ভাই জালাল ফকির বলেন, ‘আমার ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি খুবই রহস্যজনক। সে কারো সঙ্গে কোনো শত্রুতা করেনি। ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, বুঝে উঠতে পারছি না।’
সালথা থানার ওসি মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার ওই যুবক বিয়ে করেন। রাতে বাসর ঘরে নতুন বউকে নিয়ে তিনি শুয়ে ছিলেন। সকালে বাড়ির পাশে একটি আখক্ষেতের বেড়ার বাঁশের আড়ায় তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। ধারণা করা হচ্ছে- তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৬:০২ ৪১ বার পঠিত