
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে দীর্ঘদিনের গ্রাম্য বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তারা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে থানার ওসির সরকারি গাড়িও ভাঙচুর করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আড়াইহাজার থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুদ্দিন।
এর আগে বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাতে উপজেলার উচিৎপুরা ইউনিয়নের উচিৎপুরা বাজার এলাকায় হামলার ঘটনাটি ঘটে।
আটকরা হলো—সিয়াম (২০), তানভির (১৯), বিজয় (২০), ইমরান (২০), সাইদুল ইসলাম (৩০), রূপ মিয়া (৩৭) ও মাসুদ (২১)। তাদের বাড়ি উচিৎপুরা ও মর্দাসাদি গ্রামে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুযায়ী, আড়াইহাজার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের মর্দাসাদি গ্রামের সঙ্গে উচিৎপুরা ও আগুয়ান্দি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছিল।
বুধবার বিকেলে মর্দাসাদি গ্রামের নোয়াব আলী, আক্তার ও জলিলসহ কয়েকজন সিএনজি করে উচিৎপুরা বাজারে গিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী নুরু মিয়াকে (৪৫) কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এরপর খবর পেয়ে নুরু মিয়ার সমর্থকরা উচিৎপুরা, আগুয়ান্দি ও গহরদী গ্রামের দুই শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাজারে জড়ো হয়। পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
খবর পেয়ে আড়াইহাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুদ্দিন সরকারি ডাবল কেবিন গাড়িতে করে ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।
কিন্তু উভয় গ্রামবাসী পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনজন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। হামলাকারীরা ওসি তদন্তের সরকারি গাড়িটিও ভাঙচুর করে।
এ বিষয়ে আড়াইহাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুদ্দিন বলেন, পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় এসআই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
মামলায় ১৫০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৮:০৫ ৬ বার পঠিত