![]()
রাশিয়ার টানা হামলার মধ্যেই আরও শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নতুন প্যাট্রিয়ট সিস্টেম পেয়েছে ইউক্রেন। পোকরোভস্ক ও ডোব্রোপিলিয়ার ইউক্রেনীয় বাহিনী যখন রুশ সামরিক চাপের মুখে, ঠিক তখন কিয়েভকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করা হলো।
ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহৃত রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে অত্যাধুনিক প্যাট্রিয়ট সিস্টেমগুলো সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র বলে প্রমাণিত। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অস্ত্র রফতানি ও যৌথ উৎপাদনের নতুন উদ্যোগও শুরু হচ্ছে ইউরোপে।
যুদ্ধবিরতির আলোচনা হবে কি হবে না- এমন দোলাচলের মধ্যে ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। সোমবার (৩ নভেম্বর) ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ১৩৮টি স্ট্রাইক ও ডেকয় ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনের সুমি ও মাইকোলাইভ অঞ্চলে আক্রমণ চালায় রুশ বাহিনী।
এতে সুমি অঞ্চলে একজন বেশ কয়েকজন হতাহত হন। কিয়েভের দাবি, রাশিয়ার হামলার মাধ্যমে ইউক্রেনের শক্তি ও শিল্প অবকাঠামোতে লক্ষ্য করা হচ্ছে। এতে জ্বালানি সরবরাহ ও নতুন ড্রোন উৎপাদন ব্যাহত হয়।
এছাড়া পোকরোভস্কে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী প্রবেশ করলেও ইউক্রেনি সেনারা প্রতিরোধ বজায় রেখেছে। জেলেনস্কি বলছেন, শহরে এখনও ২৬০ থেকে ৩০০ রুশ সেনা অবস্থান করছে। উত্তর-পূর্বের ডোব্রোপিলিয়ায় সামরিক পদক্ষেপ বাড়িয়েছে কিয়েভ। রাশিয়াও সেনাদের পুনর্বিন্যাস করছে।
এরই মধ্যে জেলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্যাট্রিয়ট সিস্টেম ইউক্রেনে পৌঁছেছে এবং তা মোতায়েনও করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি শহর ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষা করতে তাদের আরও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দরকার। কারণ এই সিস্টেমগুলো রুশ ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রতিহত করতে সবচেয়ে কার্যকর।
এদিকে বার্লিন ও কোপেনহেগেনে ইউক্রেনি অস্ত্র রপ্তানি ও যৌথ উৎপাদনের অফিস খোলা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন জেলেনস্কি। জানান, নৌ ড্রোন ও আর্টিলারি সিস্টেম রফতানির লক্ষ্যে এবং দেশীয় উৎপাদন ও বাজেট পূরণে সহায়তা করতেই এই উদ্যোগ নিচ্ছে কিয়েভ। তিনি আরও জানান, নৌ ড্রোনের সংখ্যা ব্যবহারের চেয়ে দ্বিগুণ উৎপাদন হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৩:৫১ ৪২ বার পঠিত