
জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় জনতার হাতে আটক একটি বিষধর খৈয়া গোখরা সাপকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, শেরপুর বন বিভাগ।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের হাটবাড়ী হেনার মোড় এলাকা থেকে সাপটি উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার এর নেতৃত্বে বন্যপ্রাণী ম্যাসেঞ্জার আব্দুল্লাহ আল আমিন সহ চার সদস্যের একটি দল এই সাপটি উদ্ধার করে নিয়ে গেছেন। কর্মকর্তা সুমন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে হাটবাড়ী গ্রামের কৃষক শিমুল মিয়া ঘাস কাটতে মাঠে যান। ধানক্ষেতের আইলে তিনি হঠাৎ একটি খৈয়া গোখরা সাপ দেখতে পান। সাপটি তাঁকে ধাওয়া দিলে তিনি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে স্থানীয়রা সাপটিকে শফিকুল মোল্লার পুকুরে নামতে দেখে। পরবর্তীতে স্থানীয় যুবক দোলন মিয়া ও মন মিয়া জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাপটিকে উদ্ধারের উদ্যোগ নেন। মন মিয়া সাপটির মাথা এবং দোলন মিয়া লেজ ধরে দক্ষতার সাথে সেটিকে বস্তায় ভরে ফেলেন।
সাপ আটকের এই ঘটনায় এলাকায় উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। তারা সাপটিকে প্রথমে গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখে এবং পরে হেনার মোড় এলাকার রবিউল ইসলামের কাঠের ফার্নিচার দোকানের বারান্দায় রেখে দেয়। বিষধর সাপটি দেখতে সেখানে হাজারো উৎসুক জনতা ভিড় করে। উদ্ধার হওয়া সাপটির বয়স ৬-৭ বছর হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
ঘটনাটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সুরক্ষা ও উদ্ধার দল (ডব্লিউ এস আরটি বিডি)-এর প্রতিনিধি আদনান আলম খান স্থানীয় সাংবাদিক ও এলাকাবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সাপটিকে উদ্ধারের উদ্যোগ নেন।
আদনান আলম খান জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে সাপটিকে নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করার পরিকল্পনা করেছিলেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সুরক্ষা ও উদ্ধার দল আহত বা বিপদগ্রস্ত বন্যপ্রাণী (সাপ, পাখি, বানর ইত্যাদি) উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করে এবং সংরক্ষণে কাজ করে।”
তিনি স্থানীয় দুই যুবক দোলন মিয়া ও মন মিয়ার সাহসিকতার প্রশংসা করে বলেন, “তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যে সাহসিকতার সঙ্গে বিষধর খৈয়া গোখরা সাপটি বাঁচিয়ে রেখেছেন, তা প্রশংসনীয়। তাদের কারণেই সাপটি জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।”
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৮:১৬ ৫০ বার পঠিত