![]()
ফরিদপুরে সাজিয়া আফরিন রোদেলা (২০) নামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী সোহানুর রহমানকে (৩৫) মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এই রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সোহানুর রহমান সুইডেনে পলাতক রয়েছেন।
ইন্টারপোলের সহায়তায় তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
এ মামলার ৮ আসামির মধ্যে রোদেলার ননদ সুমি বেগম (৪৫), শাশুড়ি আনোয়ারা বোগম (৬০), ভাসুর মো. সুমন (৪৫), ভাসুরের স্ত্রী রেখা বেগম (৩০), শ্বশুর মোমিনুর রহমান (৭০), ননদের স্বামী মো. হাফিজ (৫০), ও সোহানের মামাতো ভাই মো. সাজিদকে (৪৫) বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রোদেলাকে হত্যা করে পালিয়ে যান স্বামী সোহানুর রহমান ও তার স্বজনরা। পরেরদিন রোদেলার মা রুমানা খান বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এর আগে ২০১৫ সালে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মোল্লাবাড়ি সড়কের মিজানুর রহমান সেন্টুর ছেলে সোহানুর রহমানের সঙ্গে আলীপুরের শওকত হোসেন খানের মেয়ে সাজিয়া আফরিন রোদেলার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও তার স্বজনরা যৌতুকের দাবিতে রোদেলার অপর নির্যাতন চালাচ্ছিল বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
রোদেলার মরদেহের ভিসেরা রিপোর্টে শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই গাফফার তদন্ত শেষে স্বামী সোহানসহ ৮ জনের নামে অভিযোগপত্র দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি গোলাম রব্বানী রতন বলেন, ‘আদালতে সাক্ষ্য-প্রমাণে স্বামী সোহানুর রহমান দোষী সাব্যস্ত হয়েছে এবং আদালত তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ায় আমরা এই রায়ে খুশি। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সোহান স্ত্রী রোদেলাকে হত্যার পর পরই বিদেশে পালিয়ে যায় বলে জেনেছি। বর্তমানে তিনি সুইডেনে আছেন। তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।’
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৩:০৯ ১১ বার পঠিত