
পৃথিবীর সপ্তম জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ। ঘনঘন ঘূর্ণিঝড়, নদীভাঙন ও লবণাক্ততায় বিপন্ন হচ্ছে লাখো মানুষের জীবন-জীবিকা। গত দশ বছরে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১ কোটি ৪৭ লাখের বেশি মানুষ।
ব্রাজিলের বিখ্যাত রেইনফরেস্ট আমাজন বেষ্টিত শহর বেলেমেতে কপ-৩০ সম্মেলনের লক্ষ্য, নতুন কোনো প্রতিশ্রুতি নয় বরং ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী, উন্নত দেশগুলোর দেয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন।
বাংলাদেশের দাবি, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উন্নয়নশীল দেশের ক্ষতিপূরণে উন্নত দেশগুলোকে গুণতে হবে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার।
পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ বলেন, ‘বিশ্বের যেসব উন্নত দেশগুলো রয়েছে, তাদের কাছে আমাদের ক্লেইম করা- জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে আমরা ঋণের বদলে আমরা গ্র্যান্ড চাই। বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম একটা ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। এজন্য আমাদের এডাপটেশন সাইডেও ফান্ডিংয়ের জন্য ক্লেইস করা উচিত।’
উষ্ণতা বৃদ্ধিসহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দাবি করে, প্রথমবার জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। সম্মেলনে যোগ দিয়ে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, দেশের মৎস্য ও প্রাণিখাত রক্ষায় এমন বিশ্ব আসরে দাবি তোলার কোনো বিকল্প নেই।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘এখানে শুধু পরিবেশের বিষয় নয়, এর সঙ্গে মানুষের জীবন জীবিকা, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যের সম্পর্ক রয়েছে। জলুবায়ু পরিবর্তনের কারণে মৎস্যখাতে অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এ নিয়ে কি আমরা শুধু দেশেই বলবো, কপ সম্মেলনে গিয়ে বলবো না। তাই আমরা খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কাছে দাবি করেছিলাম, তারা আমাদের সহায়তা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫০:৪৪ ৫ বার পঠিত