
টেকসই জ্বালানি ভবিষ্যৎ গঠনে জার্মানি ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগ-পাওয়ার ও সোলার প্রদর্শনীর পাশাপাশি সেমস-গ্লোবাল ও জিআইজেড বাংলাদেশের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেমস-গ্লোবাল ও জিআইজেড বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ‘ইনোভেশনস অ্যান্ড পার্টনারশিপস ফর সাসটেইনেবল এনার্জি ট্রানজিশন’ শীর্ষক দিনব্যাপী এই সম্মেলন আজ রাজধানীর আইসিসিবি’র পুষ্পাঞ্জলি হলে অনুষ্ঠিত হয়।
উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী, একাডেমিয়া ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এতে বাংলাদেশের জ্বালানি রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে সমন্বিত উদ্যোগ, উদ্ভাবন ও দায়িত্বশীল বিনিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
সম্মেলনটি আয়োজন করা হয় ২৭তম পাওয়ার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপো, ২২তম সোলার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপো এবং ৭ম ঢাকা আন্তর্জাতিক লাইটিং এক্সপোর পাশাপাশি, যা একত্রে দেশের বিদ্যুৎ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও আধুনিক আলোক প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম ‘পাওয়ার সিরিজ অব এক্সিবিশন্স’ হিসেবে পরিচিত।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, গ্রিড-ইন্টিগ্রেশন, শিল্প খাতে জ্বালানি দক্ষতা, ই-মোবিলিটি ও সবুজ দক্ষতা উন্নয়নে জিআইজেড বাংলাদেশের মাধ্যমে জার্মানির সহায়তা দেশের জ্বালানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তারা আরও বলেন, ফসিল জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে একটি সবুজ, স্থিতিস্থাপক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জ্বালানি ভবিষ্যৎ নির্মাণই এই সহযোগিতার মূল লক্ষ্য।
দিনব্যাপী আয়োজনের চারটি সেশনে দেশের জ্বালানি রূপান্তরের বিভিন্ন অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়। প্রথম সেশনে গ্রিন কুলিং প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্প্রসারণ ও শিল্প খাতে জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।
দ্বিতীয় সেশনে বিশ্বব্যাংক, ব্র্যাক ও আইএলও প্রতিনিধিরা বলেন, সবুজ অর্থনীতিতে প্রবেশের জন্য তরুণদের শিল্পভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি।
তৃতীয় সেশনে রুফটপ সোলার সম্প্রসারণে বেসরকারি বিনিয়োগ, উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক মডেল ও নীতিগত প্রণোদনার প্রসঙ্গ উঠে আসে।
শেষ সেশনে বক্তারা বলেন, শিল্পকারখানায় কম খরচে নির্ভরযোগ্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানি সরবরাহে কর্পোরেট পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্টস (সিপিপিএ) ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আলোচনায় যে বার্তাটি প্রধান হয়ে উঠে আসে, তা হলো- টেকসই জ্বালানি রূপান্তরের জন্য সরকার, উন্নয়ন সংস্থা ও বেসরকারি খাতকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্প্রসারণ, সবুজ অর্থায়ন, দক্ষতা উন্নয়ন ও নীতিগত সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ দ্রুত একটি জ্বালানি-নিরাপদ ও সবুজ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।
সেমস-গ্লোবাল ও জিআইজেড বাংলাদেশ জানায়, টেকসই জ্বালানি রূপান্তর ত্বরান্বিত করতে তারা উদ্ভাবন, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নীতি-সংলাপ অব্যাহত রাখবে, যা দেশের স্থিতিস্থাপক ও সবুজ ভবিষ্যৎ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:০৭:৫৭ ৬ বার পঠিত