সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

ডিসি-ইউএনও পাঠিয়ে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ কঠিন, প্রয়োজন রাজনৈতিক সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ডিসি-ইউএনও পাঠিয়ে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ কঠিন, প্রয়োজন রাজনৈতিক সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫



ডিসি-ইউএনও পাঠিয়ে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ কঠিন, প্রয়োজন রাজনৈতিক সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

ডিসি, ইউএনওকে পাঠিয়ে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এই সমস্যার সমাধানের জন্য রাজনৈতিক সরকার প্রয়োজন।

আজ সোমবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।

এখন ধান কাটার মৌসুম। এই সময়ে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী, এটা সিন্ডিকেটের কারণে, নাকি অন্য কোনো কারণে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘চালটা শুধুমাত্র সরবরাহের ওপর নির্ভর করে না। সাপ্লাই ছাড়াও ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলগুলো, এগুলো তো বেশিরভাগ হোলসেল এবং রিটেলের ওপর ডিপেন্ড করে। অতএব এইটার দায়িত্বে তো আমাদের ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর আছে, লোকাল এডমিনিস্ট্রেশন আছে, ওরা দেখবে। আর সবচেয়ে বেশি হলো আমাদের যারা ব্যবসায়ীরা আছে তাদেরকে একটু রেসপন্সিবল হতে হবে। প্রবলেমটা হলো, পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কিন্তু এইভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে না। বাড়ে কিন্তু যথেষ্ট ভ্যালিড কারণে। এখানে দেখা যাচ্ছে অনেক চাল আছে তবুও হঠাৎ এক জায়গায় ওরা মিলে মিশে … করে।’

তিনি বরেন, ‘এগুলোর সলিউশন এডমিনিস্ট্রেশনে হয় না। এগুলি সলিউশন কিন্তু একটা রাজনৈতিক দল করতে পারে। কারণ তাদের এই মোরাল সলিউশন করার… সেটা থাকে। তাদের ভয়েসটা দিতে পারে। তাদের কর্মীরা আছে। তাদের সেটাপ আছে। কিন্তু এই এডমিনিস্ট্রেশন থেকে ডিসিকে পাঠিয়ে, ইউএনএকে পাঠিয়ে এগুলি কন্ট্রোল করা ডিফিকাল্ট।’

পুলিশের বডি ক্যামেরা কেনা নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বডি ক্যামেরাটা আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ডিসিশন হয়েছে ওদের রেসপেক্টিভ যে এজেন্সি আছে ওদেরকে আমরা বলে দিয়েছি বাজেট যেটা আছে ওটা আপনারা ব্যবহার করেন।’

এর আগে আপনি বলেছিলেন শুধু সেনসিটিভ জায়গার জন্য বডি ক্যামেরা দেওয়া হবে, সে হিসাবে এখন সংখ্যাটা কত হতে পারে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটা আমি ঠিক করব না, এটা তো আমাদের দায়িত্ব না। এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের যে এজেন্সিগুলো আছে তাদের সঙ্গে বসে করবে। ওখানে ইনভলভ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডিরেক্টলি এবং ইসিরও কিন্তু ওই বডি ক্যামেরার ব্যাপারে দায়িত্ব নেই। ইসি বলে দেবে যে এইসব জায়গায় তোমরা নেবে এবং ক্যামেরা বা কি কি সুরক্ষার ব্যবস্থা করবে এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ। ওদের পুলিশ, বিজিবি আছে, ওদের র‌্যাব আছে এবং অন্যান্য যে সংস্থাগুলো আছে তারা করবে।’

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৩:৫২   ৮ বার পঠিত