![]()
প্রকৃতির ক্যালেন্ডারে শীতের আগমনী সুর শুরু হলেও, হিমালয়ের কোল ঘেঁষা জনপদগুলোর দিকে তাকালে বোঝা যায় শীতের আসল দাপট কাকে বলে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় এখন হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। সেখানে তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঘিরে ওঠানামা করছে। এই অঞ্চলে এখন কনকনে হিম বাতাসে রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা, যা শীত জেঁকে বসার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে।
কিন্তু দেশের অন্যান্য প্রান্তের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। রাজধানী ঢাকায় শীতের আমেজ এখনও পুরোপুরি জমে ওঠেনি; দিনের বেলায় সূর্যের তীব্রতা উষ্ণতা ধরে রাখছে, যা তীব্র শীত উপভোগে বাধা দিচ্ছে। তবে আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, উত্তরের এই হিমেল বার্তা দ্রুতই ছড়িয়ে পড়বে এবং ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে দেশজুড়ে শুরু হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ।
কয়েক দিন ধরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শীতের তীব্রতা অব্যাহত। রোববার (৩০ নভেম্বর) জেলার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোরের হালকা কুয়াশা সকালের রোদ ওঠার পর কাটলেও শীতের দাপট কমছে না।
এদিকে শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর এলাকা। কুয়াশা এতটাই ঘন যে, তা বিমান চলাচলেও ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। সকালে সব ফ্লাইটই প্রায় আধা ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে বা অবতরণ করেছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আকাশ পরিষ্কার হলেই ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হবে।
আবহাওয়ার আরও খবর
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শীত ধীরে ধীরে নামছে এবং ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়েই তা আরও তীব্র হতে পারে, শুরু হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ।
শৈত্যপ্রবাহের চাপ সবচেয়ে বেশি পড়বে উত্তর ও পশ্চিমের জেলাগুলোর ওপর। এই অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে: পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নওগাঁ, নাটোর ও রাজশাহী।
শীতের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়ে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সময়টি হবে এ মৌসুমের সবচেয়ে ঠান্ডা সময়। এই সময়ে দেশের বড় অংশ মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়বে। উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রভাব আরও তীক্ষ্ণ হবে, যা দৈনন্দিন জীবন, পরিবহন এবং কৃষিকাজে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৪:৩১ ৬ বার পঠিত