মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

মিয়ানমারে প্রথম ধাপের নির্বাচনে জান্তা সমর্থিত দলের জয় দাবি

প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » মিয়ানমারে প্রথম ধাপের নির্বাচনে জান্তা সমর্থিত দলের জয় দাবি
মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫



মিয়ানমারে প্রথম ধাপের নির্বাচনে জান্তা সমর্থিত দলের জয় দাবি

মিয়ানমারের প্রথম ধাপের জাতীয় নির্বাচনে জয় দাবি করেছেন জান্তাপন্থি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি তথা ইউএসডিপি। এদিকে ফাঁকা ভোটকেন্দ্রে বন্দুকের ভয়ে নাগরিকরা ভোট দিয়েছেন বলে অভিযোগ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গণতন্ত্রের জন্য নয় সামরিক শাসনের নতুন মুখ দেখতেই এই নির্বাচনী নাটক করছে জান্তা।

২০২১ সালে রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করে জান্তা সরকার। প্রায় চার বছর পর এই সরকারের নেতৃত্বে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় রোববার (২৯ ডিসেম্বর)।

এদিন স্থানীয় সময় ভোরে রাজধানী নেপিদোতে জাতীয় নির্বাচনে নিজে ভোট দিয়ে জনগণকে ভোটে আসার আহ্বান জানান জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং। এ সময় গণতন্ত্রের বুলিও আওড়ান তিনি। তার মুখে গণতন্ত্রের ভাষণকে বিদ্রূপ বলছেন মানবাধিকারকর্মীরা।

ভোট শুরুর দিনই জান্তা সমর্থিত ইউএসডিপি দাবি করে, তারা বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। তবে ইয়াঙ্গুন, মান্দালয়সহ বড় শহরগুলোতে ছিল ভয়াবহ নীরবতা। দোকানপাট বন্ধ, রাস্তাঘাট ফাঁকা, ভোট পড়েছে ভয় আর বাধ্যবাধকতায়।

মান্দালয়ে ভোটের আগের রাতে প্রতিরোধ গোষ্ঠীর রকেট হামলার পর নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়। ভোটকেন্দ্র ঘিরে সেনা, পুলিশ আর সাদাপোশাক বাহিনী। অনেকে শুধু নজরদারি, হয়রানি আর গ্রেফতারের ভয়ে ভোট দিতে গেছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নির্বাচন শুরু থেকেই বাছাই করা। নতুন নির্বাচনী ব্যবস্থাও ইউএসডিপির পক্ষে সাজানো বলে মন্তব্য অনেকের।

২০০৮ সালের সংবিধান অনুযায়ী, সেনাবাহিনী এমনিতেই পায় সংসদের ২৫ শতাংশ আসন। এর সঙ্গে নির্বাচনের মাধ্যমে আসা আসন যোগ হলে বেসামরিক সরকার হলেও ক্ষমতা থাকবে জেনারেলদের হাতেই। চীন, রাশিয়া, বেলারুশসহ কয়েকটি দেশ পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে।

যেসব দেশই জান্তাকে বিমান, ড্রোন আর অস্ত্র দিচ্ছে সেই দেশগুলোর স্বীকৃতিই এখন জান্তার বড় কূটনৈতিক পুঁজি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। বিশ্লেষকরা জানান, চলমান নির্বাচনের মূল লক্ষ্য একটাই মিন অং হ্লাইংকে বেসামরিক প্রেসিডেন্ট বানানো। এরপর জরুরি অবস্থা তুলে নিয়ে আন্তর্জাতিক বৈধতার মোড়ক পরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৮:৪৪   ৭ বার পঠিত