
আগাম বন্যায় বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে একমাত্র ফসল। এতে সুনামগঞ্জের হাওড়াঞ্চলের ৬২টি গ্রামের ৩০ হাজার চাষির ঈদ আনন্দ ফিকে হয়ে গেছে। অনেক কৃষকের সন্তানের ভাগ্য জোটেনি নতুন জামা। চাষিরা বলছেন, সহায়তা না পেলে কষ্টে কাটবে সারা বছর। জেলা প্রশাসন বলছে, ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হয়েছে।
তিন সপ্তাহ আগেও হাওড়ে ছিল সুবিশাল ধানক্ষেত। কিন্তু এখন সেখানে জলরাশির ঢেউ খেলা করছে। আর তার নিচে চাপা পড়ে আছে কৃষকের স্বপ্ন। এর প্রভাব পড়েছে ঈদেও।
কালনী নদীর বাঁধ ভেঙে উজানের পানি ঢুকে পড়ে, সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের বিভিন্ন হাওড়ে। আধাপাকা ধান কেউ কেউ কেটে তুলতে পারলেও বেশিরভাগই পানির নিচে পচে নষ্ট হয়ে গেছে। ফসল হারিয়ে ঈদের আনন্দ ফিকে হাওড়পাড়ের ৬২টি গ্রামে। কৃষকদের সন্তানদের গায়ে ওঠেনি নতুন জামা-কাপড়ও।
হাওরের পানি কমে যাওয়ায় অনেকে নৌকা দিয়ে ক্ষেত থেকে পঁচা ধান তুলে এনে স্তূপ করছেন গ্রামের সড়কে। ধানগুলো পানি ঝরানোর পর রোদে শুকিয়ে চাল তৈরি করে খাবেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। সরকারি সহায়তা না পেলে, সারা বছরই কষ্টে কাটবে তাদের।
তবে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগিতা করা হয়েছে।
গত ৩ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত জেলার ছোট-বড় ৩১ হাওড়ে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে ২০ হাজার হেক্টর জমির ফসল। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৩০ হাজার কৃষক।
বাংলাদেশ সময়: ১০:০৯:৫৬ ১৪ বার পঠিত