
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, স্বৈরাচার সরকারের নীতিমালাকে বাদ দিয়ে আধুনিক টেলিকম নীতিমালা করা হবে। তিনি আজ রাজধানীর হলিডে ইন হোটেলে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক এবং লাইসেন্সিং অবকাঠামো’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এই নীতিমালার উদ্দেশ্য হলো জেনারেশনাল ট্রান্সফরমেশন (প্রজন্মগত রূপান্তর) এবং আমরা এই রূপান্তর বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি।
বিশেষ সহকারী আরো বলেন, নীতিমালায় লাইসেন্সের সংখ্যা কতগুলো হবে তা নির্ভর করবে লাইসেন্স অবলিগেশন এন্ড কেপিআই পারফরমেন্সের ওপর। তবে বিটিআরসি বেসরকারি গবেষণা সংস্থার মাধ্যমে জানতে পারে কী পরিমাণ লাইসেন্স লাগবে বা কী পরিমাণ লাইসেন্স থাকলে অপটিমাল হয়। তবে এই লাইসেন্স সংখ্যার নাম করে নতুন বিনিয়োগকারীদের বাধা দেওয়া যাবে না। তাছাড়া টোল কালেক্টর হিসেবে যে লাইসেন্সগুলো বিগত সরকারের সময় দেওয়া হয়েছিল সেগুলো অব্যাহত থাকবে না। বিদেশি কোম্পানির দেশীয় প্রতিনিধিদের দেশের বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষায় কাজ করার আহ্বান জানান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, মোবাইল অপারেটররা সেবার মান না বাড়ালে গ্রাহক হারাবে। আমরা নেটওয়ার্ককে কানেকটিভিটি থেকে সার্ভিস ওরিয়েন্টেড করতে চাই। পাশাপাশি লোয়ার ব্যান্ডের ফ্রিকোয়েন্সি অবমুক্ত করা এবং এক্সিটিং ইকোসিস্টেমকে রিফর্মের জন্য কাজ করছি । নীতিমালাকে সমৃদ্ধ করতে যৌক্তিক পরামর্শগুলো বিবেচনা করা হবে। একইসাথে সরকারের ভালো উদ্যোগকেও স্বাগত জানানো উচিত।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এর আগে এতো গণতান্ত্রিক উপায়ে কোনো নীতিমালা হয়নি। পলিসি নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে সবার সাথে কথা বলেছি। নতুন লাইসেন্স নিয়ে যারা আসবে তারা আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে কাজ করবে। লাইসেন্স লিমিটেড হবে না।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) জহিরুল ইসলাম, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) নির্বাহী পরিচালক টিআইএম নূরুল কবির, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের সংগঠন আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম, বিশ্বব্যাংক পরামর্শক মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এবং মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এমটব সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ জুলফিকার বক্তৃতা করেন।
টিআরএনব’র সভাপতি সমীর কুমার দে এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলালিংক এর সিইও, গ্রামীণ ফোনের সিইও-সহ টেলিকম সেক্টরের বিভিন্ন স্টেক হোল্ডার প্রতিনিধি উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৫:৫০ ১১ বার পঠিত