পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ক্রয়ক্ষমতা সমতার দিক
থেকে (পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি- পিপিপি) ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিংগাপুর, ইরাক, কলম্বিয়ার মতো
দেশগুলোকে পিছনে ফেলে অর্থনৈতিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
আজ রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে দেশের সার্বিক
অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশের পথে
হাঁটতে হলে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে এক কথায় বলা যায়, ৯ শতাংশ
প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন অপরিহার্য। ব-দ্বীপ
পরিকল্পনা-২১০০ হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দলিল। একটি
দীর্ঘমেয়াদি প্রযুক্তিগত, কারিগরি ও আর্থসামাজিক দলিল এই পরিকল্পনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহ, ইচ্ছা ও নির্দেশে সাধারণ অর্থনীতি
বিভাগের পক্ষ থেকে এই পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও
প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির কারণে কাক্সিক্ষত উন্নয়নের
দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার এই পরিকল্পনা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত
নেয়। উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন এবং পানি, জলবায়ু, পরিবেশ ও
ভূমির টেকসই ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলাসহ ২০৩০
সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ ও ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ দেশের
মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাংলাদেশের স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি
পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে সমন্বয় করবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী তাঁর সাম্প্রতিক ভিয়েতনামের ভারতীয় মহাসগার
সম্মেলন ২০১৮ কথা উল্লেখ করে বলেন, এই সফরটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই সম্মেলনে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো নিয়ে একটি অর্থনৈতিক
জোটের কথা বলা হয়েছে এবং সবগুলো দেশ এই বিষয়ে একমত পোষণ করেছে।
পাশাপাশি এই সফরে বিশ্বব্যাপী তথাকথিত বাণিজ্যযুদ্ধ বন্ধ করতে ভারত
মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে একতা ও পারস্পরিক সহযোগিতা
বাড়ানোর বিষয়ে আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৩৬:৪০ ২৬৯ বার পঠিত