পঞ্চগড়ের আটোয়ারী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে দুই রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের পাল্টাপাড়া গ্রামের বিকাশ চন্দ্র দাস স্ত্রী সুকুমারী দাস (২৬) গত বুধবার রাতে সন্তান সম্ভাবা অবস্থায় শারিরিক ভাবে অসুস্থ্য বোধ করলে পরিবারের লোকজন তাকে দ্রæত আটোয়ারী সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। নার্সদের (সেবিকা) চিকিৎসায় থাকার পরে বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাঃ সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য ঠাকুরগাঁও ডায়াবেটিস হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন।
তার এই অকাল মৃত্যুতে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পরে আটোয়ারী থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে সুকুমারী দাস এর মৃত দেহ থানায় নিয়ে আসে এবং ইউডি মামলা রুজু করে আজ শনিবার সকালে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য পঞ্চগড় মর্গে পাঠান।
এ দিকে ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে তোড়িয়া ইউনিয়নের ধল্লী পাড়া গ্রামের জফির উদ্দীনের স্ত্রী ছবিলা বেগম (৫০) চিকনগুনিয়া রোগে আক্তান্ত হয়ে আটোয়ারী সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। নার্সরা (সেবিকা) তাকে মহিলা-২৮ নং বেড ব্যবহার করতে বলেন। রোগী শুক্রবার রাত থেকে শনিবার বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করেও পায়নি কোন ডাক্তার বা নার্স (সেবিকারা) সন্ধান। রোগীর অভিভাবক উপায় না পেয়ে বিকেলে রংপুর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার দুপুরে ছবিলা বেগমের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ছবিলা বেগমের ছেলে বেলাল হোসেন বাদী হয়ে সিভিল সার্জন বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে আটোয়ারী হাসপাতালের চার্জে থাকা ডাঃ হাবিবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি তবে ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ এসআইএম রাজিউর করিম এর সাথে মুঠোফেনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি মাসে একবার গিয়ে আটোয়ারী হাসপাতালের অর্থনৈতিক দিকটা দেখি বিল বেতন সহি করে চলে আসি অতএব এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। আপনার হাসপাতালের সার্বিক দায়িত্বে থাকা ডাঃ হুময়ুন কবির এর সাথে কথা বলেন। ডাঃ হুমায়ুন কবির এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি ঢাকায় ট্রেনিংয়ে আছি। আর আমি এমন কোন অভিযোগ পাইনি তবে আপনারা যেহেতু বললেন সেহেতু বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৩:৩০ ৪২৮ বার পঠিত