২০০৯ সালের আজকের দিনে নোলকবাবুর ঘরে বৌ হয়ে আসেন জান্নাতুল ফেরদৌস মৌ। এরপর একে একে কেটে গেছে ৮ বছর। এই আট বছরে অনেক পরিবর্তন এসেছে তাঁদের জীবনে। পাল্টেছে জীবনধারা। কিন্তু কমেনি ভালোবাসা। প্রথম প্রহরে বিয়ের ৮ বছর পালন করলেন নোলক-মৌ।
এই দম্পতির ঘরে রয়েছে দুই সন্তান। বড় সন্তান আদরের বয়স ৬। এ বছর তাকে স্কুলে দিয়েছেন। আর ছোট সন্তান আদিয়াতের বস দেড় বছর। নৌলক আর মৌয়ের বিয়েটা হয় অনেকটা নাটকীয়ভাবে।
ভাইয়ের মাধ্যমে নোলকের সাথে পরিচয় ঘটে মৌয়ের।
মৌ বলেন, ‘২০০৯ সালের ঘটনা। বাসায় আমার ভাইয়া (বড় ভাই আজাদ) এসে বলল আজ ক্লোজ আপের নোলকবাবু একসিডেন্ট করেছে, মেডিক্যালে আমরা নিয়ে গিয়েছি। ভাইয়ার কথা আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। ভাইয়া বলল সত্যি ও একসিডেন্ট করেছে, আর এই দেখ ওর নম্বর। আমাকে ভাইয়া নোলকবাবুর মোবাইল নম্বরটা দেখালেন। আমি নম্বরটা রেখে দিলাম। ‘
সেদিন চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে নোলকের গাড়িকে ধাক্কা দেয় একটি ট্রাক। সেখান থেকেই উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান আমার ভাইয়া (আজাদ)। কথাগুলো বলছিলেন ক্লোজ আপ তারকা নোলকবাবুর স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস মৌ।
মৌ বলেন, সে একসিডেন্টের পর আমি তাকে একটি টেক্সট করেছিলাম। সে কোনো উত্তর দেয় নি। পরে একদিন সে ফোন দেয়। আমি ভাইয়ার কথা জানাই। সত্যি কথা বলতে সে যে নোলকবাবু আমি তখনো বিশ্বাস করতে পারিনি। কথা হতে শুরু করলো। একদিন আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল নিয়ে তর্ক বিতর্ক শুরু হয়ে গেল। মৌ আর্জেন্টিনা সমর্থন করেন। আর নোলক বিরোধী। এই নিয়ে কথা বন্ধ থাকে। কিন্তু ফের যখন কথা শুরু হলো দুজনই টের পেলেন আবেগের উপস্থিতি।
এরপরে নোলক কনসার্টের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান। যাওয়ার আগে মৌকে নোলক প্রতিশ্রুতি দেন প্রতিদিন কথা হবে। সত্যিই সেখান থেকে নোলক প্রতিদিন ফোন দিত। ওই বছরেই (২০০৯ সাল) নভেম্বরে আমাদের বিয়ে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৩৫:১২ ৩৪৭ বার পঠিত