নিউজটুনারায়ণগঞ্জঃ আজ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি’র সাথে এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সভেন মিকসার এর নেতৃত্বে সাত (০৭) সদস্যের এক প্রতিনিধি দল আজ তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাত করেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা সংসদীয় কার্যক্রম, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য, রোহিঙ্গা ইস্যু এবং নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নসহ দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
স্পীকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সকল সূচকে বাংলাদেশ এখন শক্ত ভিতের উপর অবস্থান করছে। ২০২১সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিগত দশ বছরে বাংলাদেশের অর্জন তুলে ধরে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩৫০০মেগাওয়াট থেকে ২০০০০ মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ, খাদ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার রাজস্ব খাতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করায় দারিদ্রতার হার গত দশ বছরে ৪০ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মান, ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা ও আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। এসময় তিনি এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহবান জানান।
স্পীকার আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ১৯৭১সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০লাখ শহীদ ও ২লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশের জনগণ বিজয় ছিনিয়ে আনে।১৯৭২সালে বাঙ্গালী জাতির জন্য বঙ্গবন্ধু উপহার দেন এক অনন্য সংবিধান। দশম জাতীয় সংসদ হচ্ছে ইউনিক সংসদ- - কারণ সংসদের সংসদ নেতা, স্পীকার, বিরোধী দলীয় নেতা এবং সংসদ উপনেতা প্রত্যেকেই নারী। মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের ভারসাম্য নিশ্চিত করার জন্য স্থায়ী কমিটি কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সভেন মিকসার বলেন, বিশাল জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান বিশেষ করে অতি স্বল্প সময়ে তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ঈর্ষনীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে অব্যাহত সমর্থন এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে বিনিয়োগেরও আশ্বাস প্রদান করেন।
সভেন মিকসার তাঁর দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করেন। সরকার পরিচালনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা বিশেষ করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করা সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত এস্তোনিয়ার কনস্যুল সাঈদ ফারহাদ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:০৪:০০ ২৬৮ বার পঠিত