নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা থেকে ৩ যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।শুক্রবার সকালে উপজেলার পূর্বাচল উপ-শহরের আলমপূরা এলাকার ০৯ নং সেক্টরের ১১নং ব্রিজের নীচ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- ঢাকা জেলার মহাখালীর নিকেতন বাজার এলাকার মৃত শহিবুল্লাহর ছেলে সোহাগ, ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানার গোরেলা এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে শিমূল আজাদ ও মুন্সিগঞ্জ জেলার টুঙ্গিবাড়ির থানার পাইকপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে নূর হোসেন বাবু।
নিহত তিন যুবকের স্বজনদের অভিযোগ, ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়।
রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদ আহম্মেদ জানান , উপজেলার পূর্বাচল উপ-শহরের আলমপূরা এলাকার ০৯ নং সেক্টরের ১১নং ব্রিজের নীচে ওই তিন যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ওই তিন যুবকের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় নূর হোসেন বাবুর পকেট থেকে ৬৫ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট পায় পুলিশ। মরদেহ গুলোকে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে পরিবারের লোকজনের খবর পেয়ে থানায় এসে ওই তিন যুবকের লাশ সনাক্ত করেন।
শিমূলের মা চায়না বেগম জানান, সোহাগ, শিমূল আজাদ ও নূর হোসেন বাবু তিন বন্ধু। শিমূল আজাদ ও নূর হোসেন বাবু ঝুটের ব্যবসা করে ও আর সোহাগ ডিস ক্যাবলের ব্যবসা করে। সোহাগ ও নূর হোসেন বাবু মিলে বন্ধু শিমূল আজাদের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বুধবার রাতে তারা তিন বন্ধু শিমুলের বাড়ি থেকে মাওয়া হয়ে ঢাকা ফিরছিল। বুধবার রাত ১ টার দিকে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তাদের শেষবারের মতো কথা হয়। এরপর থেকে তিনজনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন গুলো বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন দিকে খোঁজাখুঁজি করে তাদেরকে না পেয়ে ঢাকার সায়দাবাদ টার্মিনালের বাস কাউন্টারে যোগাযোগ করেন। বাস কাউন্টারে যোগাযোগ করলে বাসের সুপার ভাইজার জানায় মাওয়া থেকে ঢাকা আসার পথে সোহাগ, শিমুল আজাদ ও নূর হোসেন বাবুকে ডিবি পরিচয়ে বাস নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার সকালে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানায় এসে লাশ সনাক্ত করেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, কাঞ্চন থেকে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ৩’শ ফুট রাস্তাটি। এ রাস্তার উভয় পাশে তেমন কোন জনবসতি নেই। ভ্রমণপিপাসু লোজন ৩’শ ফুট সড়ক ও তার আশাপাশে ঘুরতে আসেন কিন্তু এলাকাটি সন্ধ্যার পর থেকেই সুনশান হয়ে যায়। রাতের আধারে অপরাধীদের আনাগোনা বেড়ে যায়। অপরাধীরা নিরাপদ স্থান হিসেবে এ এলাকাটিকে ব্যবহার করে। প্রায় সময় ৩’শ ফুট সড়কের আশপাশে অপরাধীরা হত্যা কওে লাশ ফেলে যায়।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির জানান, তিন যুবককে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। যে কোন মূল্যে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে খুনিদের চিহিৃত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:১১:৪৮ ৩৫৯ বার পঠিত