মারণ গেম ব্লু হোয়েল নিয়ে বিভ্রান্তি না ছাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, এই গেমটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। বিভিন্ন জন মেসেঞ্জারে বিভিন্ন লিঙ্ক দিচ্ছে, এসএমএস দিচ্ছে। এগুলো সব কিছু কিন্তু সঠিক নয়। দয়া করে আপনারা বিভ্রান্ত ছড়াবেন না।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ার মিলনায়তনে আয়োজিত ফেসবুকের ‘বুস্ট ইউর বিজনেস’ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধনের শেষে সাংবাদিকরা দেশে ব্লু হোয়েল গেম বন্ধে সরকারের উদ্যোগের কথা জানতে চাইলে পলক ব্ল হোয়েল নিয়ে সচেতনা বাড়ানোর প্রতি জোর দেন।
পলক বলেন, ব্লুহোয়েল প্রতিনিয়ত নতুন নতুন লিঙ্ক ছড়াচ্ছে। আমরা সেটা সব সময় নজরদারিতে রাখছি। আমরা সব সময় খেয়াল করছি কতগুলো লিঙ্ক থেকে এগুলো করা হচ্ছে। বাংলাদেশে যতগুলো সম্ভব বন্ধ করে দেয়ার জন্য। এজন্য গোয়েন্দা সংস্থা এবং বিটিআরসির সঙ্গে লিঙ্ক গুলো ব্লক করে দেয়ার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি আইসিটি ডিভিশনও নজর রাখছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি শুধু একটা কথাই বলবো আমাদের পরিবার, সামাজিক ভাবে, রাজনৈতিকভাবে এবং গণমাধ্যমে এই ব্লুহোয়েলের মত যত ধরণের ক্ষতিকারক গেম আছে তা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
অনলাইন সুইসাইড গেম ব্লু হোয়েল। স্বেচ্ছায় কিংবা কৌতুহলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের তরুণরা এই গেম খেলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। প্রতিবেশি দেশ ভারতের এই মরণছোবল হেনেছে অনেকদিন হলো।
আত্মঘাতি এই গেমের ৫০টি ধাপ। সর্বশেষ পরিণতি মৃত্যু। লেভেল ও টাস্কগুলি ভয়ঙ্কর। গেম যত এগোবে, টাস্ক তত ভয়ঙ্কর হতে থাকবে। প্রথমদিকের টাস্কগুলি মজার হওয়ায় সহজেই আকৃষ্ট হয়ে পড়ে কিশোর-কিশোরীরা। কেউ খেলায় ইচ্ছুক হলে তার কাছে পৌঁছে যায় নির্দেশাবলী। সেইমতো নির্দেশ বা চ্যালেঞ্জগুলি একে একে পূরণ করে তার ছবি পাঠাতে হয় গেম হ্যান্ডলারকে। নিজের হাত কেটে তিমির ছবি এঁকে ছবি তুলে পাঠাতে হয়। এই খেলায় অংশগ্রহণকারীকে হোয়েল বলা হয়। স্বেচ্ছায় তারা এই মরণ খেলায় যোগ দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৫২:৩৬ ৩২৪ বার পঠিত