রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে
নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৮’
উদ্ধসঢ়;যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
আবহমানকাল থেকেই কৃষি বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের অন্যতম
প্রধান নিয়ামক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। দেশের অধিকাংশ মানুষ
গ্রামে বাস করেন এবং তাঁদের জীবনমান কৃষিনির্ভর। তাই দেশের
সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তিনির্ভর টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব
অত্যধিক। সরকারের বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে
স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম
খাদ্যশস্য উৎপাদনকারী দেশ। দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে
কৃষিখাতে এ অর্জন ধরে রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
দারিদ্র্য ও নানা অভিঘাত মোকাবিলা করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা
অর্জন স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ
মোকাবিলার জন্য সরকারের পাশাপাশি কৃষিবিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মী,
কৃষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার বিকল্প নেই। ২০৩০ সালের মধ্যে
ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যে বিশ্ব খাদ্য দিবসে এ বছরের প্রতিপাদ্য
‘কর্মে গড়ে ভবিষ্যৎ, কর্মই গড়বে ২০৩০-এ ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব’ অত্যন্ত
তাৎপর্যপূর্ণ বলে আমি মনে করি। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও জলবায়ু
পরিবর্তনজনিত অভিঘাত বিবেচনায় নিয়ে এ দেশের গ্রামীণ কৃষিনির্ভর
অর্থনীতিকে সুদৃঢ়করণের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যবলয় তৈরি করা প্রয়োজন।
সেলক্ষ্যে পরিবর্তিত জলবায়ু সহনশীল লাগসই ফসল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ
উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহারে গুরুত্ব দিতে হবে। জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণে
কৃষিবিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলে আরও সচেষ্ট হবেন - এ
প্রত্যাশা করি।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে কৃষির অগ্রযাত্রা বিশ্বব্যাপী অনন্য দৃষ্টান্ত
স্থাপন করেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সবার সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে
উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতাকে টেকসই রূপ দিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা
ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সক্ষম হব, ইনশাল্লাহ।
আমি ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৮’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির
সার্বিক সফলতা কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
বাংলাদেশ সময়: ১৭:০৬:৫৫ ২৪২ বার পঠিত