গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়নে ক্ষতিগ্রস্তদের শীঘ্রই ক্ষতিপূরণ
প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা ছাড়া এ প্রকল্প
বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। যারা ইতোমধ্যে জমি ছেড়ে দিয়েছেন, তাদের
ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়ে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলে ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।
আজ হাতিরঝিল মোড়ে বাড্ডা হতে বারিধারা পর্যন্ত আড়াই
কিলোমিটার দীর্ঘ লেকড্রাইভ সড়কের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির
বক্তৃতায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এ কথা
বলেন। হাতিরঝিল প্রকল্পের অংশ হিসেবে গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়ন
প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় গুলশান-বানানী-বারিধারা লেক
পুনঃখনন, লেকড্রাইভ নির্মাণ, ব্রিজ নির্মাণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি
বাস্তবায়ন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, এলাকার পরিবেশ উন্নয়ন এবং লেকের পানি ধারণক্ষমতা ও
এলাকার নান্দনিকতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়ন প্রকল্প
গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ হলে গুলশান লেক দখলের হাত থেকে রক্ষা
পাবে। এ লেক পরিচ্ছন্ন রাখায় রাজউকের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, তেমনি
এখানকার বাসিন্দাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। এ কাজ সুষ্ঠুভাবে না করা হলে লেক
ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
মন্ত্রী এই লেকড্রাইভের কাজের বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের
প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের কথা স্মরণ করেন। প্রয়াত মেয়র এলাকাবাসীকে
সম্পৃক্ত করে ক্ষতিপূরণের অর্থ পাওয়ার আগেই জায়গা খালি করে দিতে
বাসিন্দাদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
রাজউক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে
বক্তৃতা করেন হাতিরঝিল প্রকল্পের পরিচালক মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মোঃ
মাসুদ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র জামাল মোস্তফা, গুলশান
সোসাইটির সাবেক সভাপতি ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম
শামসুল হক, গুলশান সোসাইটির সভাপতি শাখাওয়াত আবু খায়ের মোহাম্মদ
এবং এ সড়ক নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি আনোয়ার হোসেন বীর প্রতীক।
পরে মন্ত্রী পুরো লেকড্রাইভ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৭:১৩ ২৪৩ বার পঠিত