আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর
মৃত্যুর পর ২১ বছর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা দূরে থাক বিচার পাওয়ার মতো
কথা বলার সাহস আমাদের ছিল না। বিচার পাওয়ার নিশ্চয়তা ছিল না এবং ছিল না
বিচারিক আদালতের কাছে যাওয়ার। আমরা অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এখানে
পৌঁছেছি। তিনি বলেন, ২০০৭ সালের পূর্বে আজকের চিফ জুডিসিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেসি এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসি কিন্তু কমবেশি
প্রশাসনের সাথে যুক্ত ছিল। তখন একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে একই সঙ্গে নির্বাহী
বিভাগ ও বিচার বিভাগের কাজ করতে হতো। ফলে বিচারপ্রার্থীদের বিচার
পেতে ভোগান্তিতে পরতে হতো।’
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে চিফ
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য
আয়োজিত তৃতীয় অরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি এবং চিফ মেট্রোপলিটন
ম্যাজিস্ট্রেসি তৈরি করার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু অবকাঠামো তৈরির
প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় এবং সে সময় ম্যাজিস্ট্রেটরা এজলাস ভাগাভাগি করে
বিচারকার্য সম্পাদন করতো। বর্তমান সরকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির
জন্য এইসব অবকাঠামো তৈরি করে দিচ্ছে।
বিচারকরা যাতে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে বিচারকাজ করতে পারে সেজন্য
তাদের বেতন-ভাতা দ্বিগুণ করা হয়েছে। বিচারকদের বিদেশে প্রশিক্ষণে পাঠানো
হচ্ছে এবং বর্তমান সরকারের আমলেই প্রথম বিচারকদের বিদেশে প্রশিক্ষণে
পাঠানো হয়েছে। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে তাদের
যুযোপযোগী প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি
খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব
আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকও বক্তৃতা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৫:৪৭ ২২৫ বার পঠিত