নগরীর নিতাইগঞ্জের ট্রাক স্ট্যান্ডে টোকেন আদায়কে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। টোকেন চাওয়াকে কেন্দ্র করে এক শ্রমিককে মারধরের অভিযোগে অশান্ত হয়ে উঠে ট্রাক স্ট্যান্ড। সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে নিতাইগঞ্জে এ নিয়ে শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে সদর থানা পুলিশ, কাউন্সিলর আবদুল করিম বাবু ও সাবেক কাউন্সিলর মুন্নার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
শ্রমিকরা জানান, ট্রাক-ট্যাংকলড়ী-কর্ভাডভ্যান মালিক সমিতির নেতা মাইনুদ্দিন সরদার ট্রাক ড্রাইভার রাজনকে টোকেন দেখাতে না পারায় মারধর করে। শ্রমিকরা খবর পেয়ে সকল কাজ বন্ধ করে মালিক সমিতির নেতা মাইনুদ্দিনের বিচারের দাবীতে হৈ চৈ শুরু করে। সংবাদ পেয়ে সমিতির নেতা মাসুদুর রহমান মানিক ঘটনাস্থলে এসে রাজন ও মাইনুদ্দিনকে মিলিয়ে দেন।
তবে শ্রমিককে মারধরে বিষয়টি অস্বীকার করেন মাইনুদ্দিন। তিনি বলেন, টোকেন আছে কি না জানতে চাইলে সে আরেকজনের কথা বলে পাশ কাটিয়ে যায়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে মাত্র।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, স্ট্যান্ডের দখলকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ শান্ত নিতাইগঞ্জকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। তাদের দাবি, বর্তমানে স্ট্যান্ডটি নিয়ন্ত্রণ করছেন মানিকপন্থীরা। সেটা দখল করার জন্য কাউন্সিলর শফিউদ্দিন পন্থীরা দখলের জন্য নানা উস্কানী দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।
তারা জানান, আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘টোকেন’ দিতে বলা হলে শহীদ, রিপন, করিম, তৌহিদ ও রাজন গং মানতে নারাজ। তাদের দাবী মানিক গংরা টোকেনের নামে বেশী টাকা আদায় করছে।
ট্রাক- ট্যাংকলড়ী-কর্ভাডভ্যান চালক ও মালিক সমিতির সভাপতি মাসুদুর রহমান মানিক বলেন, আইনশৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক জিমখানা রোডটি খালি থাকবে। এমনকি এমপিরও নির্দেশ রয়েছে। সেটা না মেনে যুব শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয়দানকারী শহীদ ট্রাক লোড করছিল। টোকেন আছে কিনা জানতে চাইলে কথা কাটাকাটি হয়।
পরে ঘটনাস্থলে এসে ট্রাক চালক মালিক সমিতির সভাপতি শফিউদ্দিন বলেন, শ্রমিকরা আমাকে বলেছে নির্বাচন চাই, চাঁদাবাজি হয় টোকেনের নামে। আমিও শ্রমিকদেরকে বলেছি নির্বাচন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৫৭:০২ ৪৬২ বার পঠিত