
নিউজটুনারায়ণগঞ্জঃ পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ মুসলিম
উম্মাহ’র সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।
হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র ঈদ-ই-
মিলাদুন্নবী (সা.) বিশ্ববাসী বিশেষত মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র,
তাৎপর্যপূর্ণ এবং মহিমান্বিত দিন। মহান আল্লাহ তা’আলা সমগ্র
বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে এ জগতে প্রেরণ করেন।
দুনিয়ায় তাঁর আগমন ঘটেছিল ‘সিরাজাম মূনিরা’ তথা আলোকোজ্জ¦ল
প্রদীপরূপে। তৎকালীন আরব সমাজের অন্যায়, অবিচার, অসত্য ও অন্ধকারের
বিপরীতে তিনি মানুষকে আলোর পথ দেখান এবং প্রতিষ্ঠা করেন সত্য, সুন্দর ও
ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সর্বশেষ মহাগ্রন্থ পবিত্র কোরানে তাঁর ওপর
অবতীর্ণ করে জগতে তাওহীদ প্রতিষ্ঠার গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেন। নানা
প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অসীম ধৈর্য, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম,
নিষ্ঠা ও সীমাহীন ত্যাগের মাধ্যমে তিনি শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠায় সফল
হন। আল্লাহর প্রতি অগাধ প্রেম ও ভালোবাসা, অনন্যসাধারণ ব্যক্তিত্ব, অনুপম
চারিত্রিক গুণাবলী, অতুলনীয় বিশ্বস্ততা, অপরিমেয় দয়া ও মহৎ গুণের জন্য তিনি
সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হিসেবে অভিষিক্ত।
বিশ্বের ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান ‘মদিনা সনদ’ ছিল
মহানবী (সা.) এর বিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার প্রকৃষ্ট দলিল। এ দলিলে জাতিধর্মবর্ণ
নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার
সার্বজনীন ঘোষণা রয়েছে। ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে তাঁর শিক্ষা সমগ্র
মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়। মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ আমাদের সকলের
জীবনকে আলোকিত করুক, আমাদের চলার পথের পাথেয় হোক, মহান আল্লাহর
কাছে এ প্রার্থনা করি।
মহান আল্লাহ আমাদেরকে মহানবী (সা.) প্রদর্শিত সত্য ও সুন্দরের পথে
চলার তৌফিক দিন। আমীন
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৭:৪২ ২৬৫ বার পঠিত