রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৪৭তম জাতীয় সমবায় দিবস উদ্যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি।
সমবায় পদ্ধতি পারস্পরিক সহযোগিতা, সমবেত প্রচেষ্টা, মূল্যবোধের চর্চা এবং সম্মিলিতভাবে টিকে থাকার নীতিতে বিশ্বাস করে। সমবায় একাধিক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ন্যায়নীতি ও নিষ্ঠার ভিত্তিতে গঠিত ও পরিচালিত এক কর্মপ্রচেষ্টা। প্রতিটি সমবায় সমিতি গণমানুষের মৌলিক সমস্যা নিরসনে এক একটি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান। তাই টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সমবায়ভিত্তিক সমাজ গড়ার কোনো বিকল্প নেই। জাতীয় সমবায় দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘সমবায়ভিত্তিক সমাজ গড়ি, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করি’- এ প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
পল্লী অঞ্চলের দারিদ্র্য বিমোচন, নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণ ও পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তিসহ নারীর ক্ষমতায়নে সমবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায়কে উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। তিনি দরিদ্র-সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে গণমুখী সমবায় আন্দোলনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাছাড়া সংবিধানে মালিকানার নীতি হিসেবে সমাবায়কে জাতীয় অর্থনীতির দ্বিতীয় খাত হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। তাই সমবায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে সমবায় সংশ্লিষ্ট সকলের সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা একান্ত কাম্য। বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করার লক্ষ্যে সমবায় কার্যক্রমকে আরো গতিশীল, সক্রিয় এবং যুগোপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট সকলে তৎপর ও আন্তরিক হবেন-এ প্রত্যাশা করি।
আমি ৪৭তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০১৮ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
বাংলাদেশ সময়: ২০:১৩:৩৮ ২৪৫ বার পঠিত