প্রায় দুই বছর আগে সংগঠনে রূপ নেওয়া জেএমবির এই ‘রেডিক্যাল ইয়ুথ গ্রুপ’ টির টার্গেট ছিল স্বচ্ছ পেশাজীবী সদস্য সংগ্রহ করা, যারা সংগঠনের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করতে পারবে। অাজ সোমবার দুপুরে কারওরান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আটক আট জঙ্গি সম্পর্কে এমন তথ্য দেন র্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, জেএমবির রেডিক্যাল ইয়ুথ গ্রুপের সদস্যরা শিক্ষিত স্বচ্ছ ও পেশাজীবীদের দলের অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করতো। মূলত তাদের কার্যক্রমের জন্য অর্থের যোগান দেওয়ার জন্য সদস্যপদ দিতো।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পারি এই গ্রুপে ৩০ থেকে ৩৫ জন সদস্য রয়েছে। সংগঠনটি চলে শুভাকাঙ্ক্ষী ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা অর্থে।’
মুফতি মাহমুদ বলেন, তামিম গ্রুপের সক্রিয় সদস্য বাশারুজ্জামান চকলেটের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এই গ্রুপের অন্তত তিন সদস্যের। যারা ২০১৪-২০১৫ সালে জেএমবিতে যোগ দেয়। এরা সবাই উচ্চশিক্ষিত স্বনামধন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতো।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গত ৭-৮ মাস তাদের উপর নজরদারির রাখা হয়। পরে গতকাল (২৫ নভেম্বর) র্যাবের আটটি অভিযানিক দল রাজধানীর তিনটি এলাকা থেকে এই আটজন সক্রিয় নতুন সংগঠনের সদস্যকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন- আরাফাত আজব (৩০), রাশেদ আলম বাধন (২৮), আফজাল আলী (৩৭), মাহাদী হাসান (২৩), রাদিউজ্জামান হাওলাদার অনিক (২৭), জালাল উদ্দিন শোভন (২৮), জারির তাইসীর (২৬), আসিফুর রহমান (২৮)।
র্যাবের এই মুখপাত্র আরও বলেন, সংগঠনটি আমীরের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করে। আটককৃত আটজনের মধ্যে সাবেক তিনজন এবং বর্তমানে দুজন আমীর রয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আফজাল আলী।
রেডিক্যাল ইয়ুথ গ্রুপকে হুমকি হিসেবে দেখে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘জেএমবির এই সদস্যরা বিভিন্ন পেশায় অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। তারা বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করতে পারে বলে আমাদের ধারণা ছিল। শুধু যোগাযোগ করার জন্যই আইটি সেক্টরে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিল আরাফাত আজম। তাই বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছিল তাদের ওপর।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:০৭:৩৮ ২১৯ বার পঠিত