
নিউজটুনারায়ণগঞ্জঃ মুখ খুলেছিলেন তিনি৷ প্রতিবাদী হয়ে অসমের মাটিতেই বিজেপিকে বারে বারে আঘাত করেছেন৷ সেই প্রতিবাদী তপোধীর ভট্টাচার্য কি লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হতে চলেছেন? এমনই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷
যদিও অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য জানান, এমন কোনও সম্ভাবনা নেই৷ তবে রাজনৈতিক মহলের আলোচনা যেহেতু তৃণমূল কংগ্রেস অসমেও তাদের সংগঠন বাড়িয়ে নিতে চায় এবং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন অন্যান্য রাজ্যেও প্রার্থী দেওয়া হবে৷ সেই সব সমীকরণকে মাথায় রেখে শিলচরের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব তথা অসমের অন্যতম শিক্ষাবিদ তপোধীর ভট্টাচার্যকে সেই রাজ্যেও প্রার্থী করা হতে পারে৷
অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির প্রথম খসড়ায় নাম বাদ পড়েছিল তপোধীর ভট্টাচার্যের। তারপর থেকেই তিনি বিজেপি সরকারের নানা কর্মকান্ডের সমালোচনা করতে শুরু করেন। রাষ্ট্রপতির নির্বাচন করা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য কীভাবে নাগরিক পঞ্জির তালিকা থেকে বাদ পড়েন? এমন প্রশ্নও তিনি তুলেছিলেন।
সেই তপোধীরবাবু নাকি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে টিকিট পাচ্ছেন। অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার আগে তিনি দীর্ঘদিন পড়িয়েছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। ফলে উঠে আসছে উত্তরবঙ্গের কোনও এলাকা থেকে তাঁকে তৃণমূলের প্রার্থী করার বিষয়টি৷ এমন কি তাঁকে দাঁড় করানো হতে পারে কোচবিহার জেলা থেকে এমন সম্ভাবনাও উঠে আসছে।
যদিও এমন জল্পনার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন তপোধীর ভট্টাচার্য। তিনি বলেন “এমন সম্ভাবনা কোনও দিনই ছিল না। আগামীতেও এমন সম্ভাবনা নেই। জাতি বিপন্ন হলে চুপ করে বসে থাকা যায় না। তাই NRC-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি। এর সঙ্গে ভোটের রাজনীতির সংযোগ নেই”।
অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত খসড়া থেকে বাদ পড়েন ব্রহ্মপুত্র ও বরাক উপত্যকার বহু বাঙালি। তার জেরে সেখানকার বিপন্ন বাঙালিদের পাশে দাঁড়ায় পশ্চিমবঙ্গের ‘বাংলা পক্ষ’ সংস্থা। এর প্রধান গর্গ চট্টোপাধ্যায় সেই সময় তপোধীর ভট্টাচার্যের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এবং নানা ভাবে সাহায্য করেছিলেন। গর্গ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন “আগের তপোধীর ভট্টাচার্যের পাশে ছিলাম, এখনও আছি। তাঁর প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।”
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৯:০৬ ২১৮ বার পঠিত