
নিউজটুনারায়ণগঞ্জঃ রংপুর জেলার সংসদীয় ছয়টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে হেভিওয়েট আসন শেখ হাসিনার শ্বশুড়বাড়ি এলাকা পীরগঞ্জ। এ আসন থেকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে প্রচারণার তুঙ্গে রয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। প্রতিদিনই ছুটছেন পীরগঞ্জের আনাকানাচে। গণসংযোগ, উঠান বৈঠক আর পথসভায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।
রংপুর-৬ আসনে শিরীন শারমিন চৌধুরী ছাড়াও মাঠে রয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের বেলাল হোসেন (হাতপাখা), এনপিপি’র হুমায়ুন এজাজ (আম), কমিউনিস্ট পার্টির অধ্যাপক কামরুজ্জামান (কাস্তে) এবং বিএনএফের প্রার্থী এবিএম মাসুদ সরকার মজনু (টেলিভিশন)।
পীরগঞ্জসহ পুরো রংপুর জেলায় গত দশ বছরে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের ব্যাপক উন্নয়নই তার জয়ের নেপথ্যে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। যদিও গত নির্বাচনে এ আসনটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচিত হয়েছিল। পরে আসনটি ছেড়ে দিলে উপ-নির্বাচনে শিরীন শারমিন চৌধুরী এখানে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়।
ভোটযুদ্ধের প্রচারণায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতিবিজড়িত পীরগঞ্জের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যহত রাখতে শিরীন শারমিন চৌধুরী সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইছেন। এতে গুরুত্ব পাচ্ছে তার বিগম সময়ের উন্নয়ন কার্যক্রম।
পীরগঞ্জ পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের ওসমানপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম জানান, গেল পাঁচ বছরে পীরগঞ্জের ১৫টি ইউনিয়নে সমস্যা চিন্থিত করে বাস্তবমুখী অনেক উন্নয়ন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন ড. শিরিন শারমিন চেীধুরী। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য দৃষ্টি নন্দন শহীদ মিনার, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লোক্স ভবন, কাবিলপুর, মিঠিপুর, বড় আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, উপজেলা পরিষদ ভবন, বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অবকাঠামো নির্মাণ, ড. এম এ ওয়াজেদ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন, এবং মেরিন একাডেমি নির্মাণ কাজ। একসময়ের অবহেলিত এই উপজেলাতে উন্নয়নমূলক প্রায় ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। একারণে পীরগঞ্জের মানুষ বিপুল ভোটে এখানে শেখ হাসিনার কন্যাতুল্য শিরীন শারমিনকে নির্বাচিত করবেন।
অন্যদিকে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতা মোস্তাফিজুর রহমান গোলাপ বলেন, শিরীন শামিন চৌধুরীর হাত ধরে পীরগঞ্জের যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালঘার্টের নির্মাণের মাধ্যমে তিনি যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটিয়েছে। নারী ও শিশুদের জন্য চিকিৎসা কেন্দ্র নির্মাণ হয়েছে বিভিন্ন ইউনিয়নে। নারী উন্নয়ন, গ্রামীণ নারীদের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদের স্বাবলম্বী করতে ব্যাপক কর্মসূচী সফলভাবে শেষও করেছেন তিনি। এসব উন্নয়নই নৌকার ভোটব্যাংক।
বাংলাদেশ সময়: ৯:৪৯:১৮ ২৬৩ বার পঠিত