নিউজটুনারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, যুগ্ম সম্পাদক শওকত হাশেম শকু, দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুল আলম সেন্টুর বিরুদ্ধে এবার চুড়ান্তভাবে হার্ডলাইনে যেতে চাইছে দলটির হাই কমান্ড।
শুধু তাই নয়, কারন দর্শানোসহ দল থেকে আজীবনের জন্য তাঁদের বহিস্কারের চিন্তাভবনাও করা হচ্ছে বলে জানা গেছে দলটির শীর্ষ পর্যায়ের ঘনিষ্ট একাধিক সুত্র থেকে।
সুত্রগুলো বলছে, তারা দল করেন বিএনপি। অথচ নিজ দল বা জোট প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান না নিয়ে সরকার ও শরিকদল মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছেন। যে কারনে বাধ্য হয়ে দলের পক্ষ থেকে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।
তাঁরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের যে শামীম ওসমান আমাদের দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোড মার্চ অাটকে দিয়েছিল সেই শামীম ওসমান ও তাঁর ভাই মহজোট প্রার্থী সেলিম ওসমানের পক্ষে নির্বাচনের দোরগোড়ায় এসে তারা প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়ে নৌকা ও লাঙ্গলে ভোট চাইছেন। যা অত্যন্ত দু:খজনক এবং দলের নীতি আদর্শের পরিপন্থি।
সুত্রগুলো আরো বলছে, উপরোক্ত ব্যক্তিরা বিএনপির গুরুত্বপূর্ন পদধারী নেতা হওয়া সত্বেও তাঁরা অনেক আগে থেকে ওই ওসমান পরিবারের দালালীসহ তাঁদের সেবাযত্ন করে আসছে। বিএনপির নীতি নির্ধারকদের কাছে তথ্য প্রমানসহ প্রায়শই এমন অভিযোগ আসতো। কিন্তু হামলা-মামলা বা গ্রেফতার এড়াতে তাঁদের এমন কৌশল হতে পারে ভেবে দল তাঁদের বিরুদ্ধে কখনো কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ধারনা ছিল নির্বাচনের সময় তাঁরা ঠিকই দল বা দলীয় প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করবেন।
কিন্তু সে ধারনাকে মিথ্যা প্রমান করে তাঁরা নির্বাচনের দোরগোড়ায় এসেও প্রকাশ্যে সরকারদলীয় ওই প্রার্থীদ্বয়ের পক্ষে একই অবস্থান ধরে রেখেছেন। তার উপর গত শুক্রবার নিজেদের প্রার্থীদের পক্ষে বন্দরের সোনাকান্দা এলাকায় নির্বাচনী সমাবেশে দলের মহাসচীব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আসলেও তাঁরা সেখানে যাননি। আর এ কারনে দলের মহাসচীব বিষয়টিকে এবার গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়েছেন।
অন্যদিকে ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুল আলম সেন্টুও সম্প্রতি একটি নির্বাচনী সমাবেশে সরকার দলীয় প্রার্থী শামীম ওসমানকে সমর্থন দেয়ায় তাঁর ব্যপারে হার্ডলাইনে যাবার চিন্তাভাবনা করছে দলটি।
সুত্রগুলো আরো বলছে, অতিতের যে কোন নির্বাচনের চাইতে এবারের নির্বাচন বিএনপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। বলতে গেলে বাচা-মরার লড়াই। কেননা একাদশ সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচুত্য করতে না পারলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি আর কখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারবেকিনা সন্দেহ। অতএব এ পরিস্থিতিতে তাঁদের এমন আচরন দল কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না। যার ফলে দলের নীতিনির্ধারকগন এ ব্যপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে প্রায় সকলে একমত। তবে নির্বাচনের আরো কয়েকটা দিন বাকী আছে। এর মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হয়ে যদি স্বশরীরে দলের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করেন, সে ক্ষেত্রে রক্ষা পাওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্রে,সময় নারায়ণগঞ্জ
বাংলাদেশ সময়: ১৫:২৩:৫৮ ৪১৩ বার পঠিত
