(বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস)
১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পরিচিত। মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ ৯ মাস কারাজীবনের পর ১৯৭২ সালের এই দিনে তিনি পাকিস্তানের কারাগার হতে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। বিমান বন্দরে সেদিন তাকে হাজার হাজার জনতা প্রাণঢালা অভ্যর্থনা জানায়। সেই থেকে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দিবসটি পালন করে চলেছে। সেমিনার, আলোচনা সভা, র্যালিসহ বিস্তারিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।
জোসেপ অ্যাসপডিন এর সিমেন্ট আবিস্কার
১৮২৪ সালের এ দিনে বৃটিশ নাগরিক জোসেপ অ্যাসপডিন এক জাতের সিমেন্ট তৈরি করেন। তার আবিষ্কৃত সিমেন্টের সাথে বৃটেনের পোর্টল্যান্ডে সে সময় পাওয়া এক জাতের পাথরজাত সিমেন্টের বেশে মিল ছিলো। তাই তিনি প্যাটেন্ট গ্রহণের সময় এই সিমেন্টের নাম দেন পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট। একই বছরের ২১ই অক্টোবর তার প্যাটেন্ট মঞ্জুর করা হয়। তার আবিষ্কৃত পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট পরবর্তীতে নির্মাণ কাজকে আরো সহজসাধ্য করে তোলে। অ্যাসপডিনের বাবা ছিলেন ইটের ব্যবসায়ী। পরবর্তীতে তিনি বাবার পেশাই গ্রহণ করেন। এই ব্যবসা করতে যেয়ে তিনি সিমেন্টের ব্যাপারে ব্যাপক অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। অ্যাসপডিন নিজেই যে সিমেন্টের ব্যবসা গড়ে তুলেছিলেন তার বিস্তার ঘটায় তার বড় ছেলে জেমস। জেমস অবশ্য পোর্টল্যান্ড সিমেন্টের নির্মাণ প্রণালীকে সামান্য রদ-বদল করে এবং এর ফলে আধুনিক পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট তৈরির পথ প্রশস্ত হয়।
সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠা লাভ
১৯২০ সালের এ দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই বিশ্বসংস্থার সদর দফতর ছিলো জেনেভায়। ১৯১৯ সালে ৪২টি দেশ জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারটি অনুমোদন করেছিলো। ১৯১৪ সালে সারায়েভোতে রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের জের ধরে এক ভয়াবহ যুদ্ধের সূচনা হয়েছিলো। তার আগে এমন ভয়াবহ যুদ্ধ বিশ্ব আর প্রত্যক্ষ করে নি। যুদ্ধে ব্যাপক প্রাণহানির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের অনেকেই বিশ্ব শান্তি রক্ষার জন্য স্থায়ী একটি বিশ্বসংস্থা স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। আর এই প্রেক্ষাপটে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তবে প্রথম দিকে এই জাতিপুঞ্জে আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলো এবং অধুনালুপ্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন যোগ দেয় নি। ১৯৩০ এর দশকে নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে জাতিপুঞ্জের ব্যর্থতা প্রকট হয়ে উঠতে থাকে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ যখন ঘোষণা করা হয় তখন কার্যত জাতিপুঞ্জ লুপ্ত হয়ে গেছে। ১৯৪৬ সালে জাতিসংঘ গঠন করার সময় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিপুঞ্জকে অবলুপ্ত বলে ঘোষণা করা হয়। জাতিপুঞ্জের আদলে জাতিসংঘকে গড়ে তোলা হলেও শেষ পর্যন্ত এই সংস্থা অনেক বেশি আন্তর্জাতিক সমর্থন লাভ করতে সক্ষম হয়। তবে ফিলিস্তিন সংকট নিরসনে শোচনীয়ভাবে এই সংস্থার অব্যাহত ব্যর্থতা এবং এই সংস্থাকে পাশ কাটিয়ে ইরাকের উপর মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের আগ্রাসনের পর অনেকেই জাতিসংঘের কার্যকারিতা নিয়ে জোরালো প্রশ্ন তুলেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ দাসদের বিদ্রোহ দমন
১৮১১ সালের এ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলেন্স অঙ্গরাজ্যে কৃষ্ণাঙ্গ দাসদের এক বিদ্রোহ নিষ্ঠুরভাবে দমন করা হয়। এই অঙ্গরাজ্যের লুসিয়ানাতে সংগঠিত এই বিদ্রোহে চার শতাধিক দাস অংশ গ্রহণ করেছিলো। দাস বিদ্রোহ দমন করার জন্য মার্কিন সেনাবাহিনীকে তলব করা হয়েছিলো। বিদ্রোহ দমন করার নামে প্রায় ৬৬টি জন দাসের মাথা কেটে লুসিয়ানা শহরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিলো।
জাতিসংঘের প্রথম অধিবেশন
১৯৪৬ সালের এ দিনে জাতিসংঘের প্রথম সাধারণ অধিবেশন হয়েছিলো লন্ডনের ওয়েস্ট মিনিস্টার সেন্টার হলে। এর এক সপ্তা পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসে এবং বিধি তৈরি করে। একই বছর ২৪শে জানুয়ারী জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রথম ইশতেহার গ্রহণ করা হয়। এই ইশতেহারে পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার এবং পরমাণু বোমা সহ অন্যান্য মারণাস্ত্র ধ্বংস করার আহবান জানানো হয়।
পানামা যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ছিন্ন
১৯৬৪ সালের এ দিনে পানামা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। পানামা খালের ব্যাপারে যে চুক্তি আছে পানামার পক্ষ থেকে তা পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানানো হয়। এর আগের দিন মার্কিন বিরোধী হাঙ্গামার ফলে অনেক পানামাবাসী হতাহত হয়। এখানে উল্লেখযোগ্য দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় থেকে পানামার প্রায় ১৩৪টি অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র সেনাঘাঁটি স্থাপন করেছিলো। ফলে দেশটি কার্যত মার্কিন সেনাদের দখলে চলে যায়। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক আবার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলেও পানামার জনগণের প্রচন্ড বিরোধিতা ও সংগ্রামের কারণে ১৯৪৭ সালে পানামা থেকে মার্কিন সেনা ঘাঁটিগুলো সরিয়ে নিতে হয়। ১৯৯৯ সালে য্ক্তুরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত পানামা খালের কর্তৃত্ব ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে তেল শিল্পের সূচনা
১৯০১ সালের এ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি এলাকায় খনন চালানোর সময় প্রচন্ড বেগে জ¦ালানি তেল বের হয়ে আসতে থাকে। আর এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে তেল শিল্পের সূচনা হয়। মাটির প্রায় এক হাজার ফুট গভীরে এই তেল খনি আবিস্কৃত হয়েছিলো এবং এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় ১ লক্ষ ব্যারেল তেল প্রচন্ড বেগে নির্গত হচ্ছিলো। এই তেলের নির্গমন বের করতে প্রায় নয় দিন লেগে গিয়েছিলো।
ব্রিটেনের রাজা দ্বিতীয় চার্লস রাজকীয় আফ্রিকান উপনিবেশের সনদ মঞ্জর করেন (১৬৬৩)
ব্রিটেন সিলোনে (বর্তমান শ্রীলঙ্কা) ক্যান্ডির রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে (১৮১৫)
লন্ডনে পাতাল রেলপথ উদ্বোধন (১৮৬৩)
আইভরি কোষ্টের ওপর ফ্রান্সের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা (১৮৮৯)
লীগ অব নেশন্স গঠিত (১৯২০)
লন্ডনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত (১৯৪৬)
চাঁদে মহাশূন্য যানের পদার্পণ এবং পৃথিবীতে ছবি প্রেরণ শুরু (১৯৬৮)
৫শ’ বছরের পর্তুগিজ শাসন থেকে এঙ্গোলার স্বাধীনতা লাভ (১৯৭৫)
অগ্ন্যুৎপাতে জায়ারে ২ সহধিক লোকের মৃত্যু (১৯৭৭)
বাংলাদেশ সময়: ১২:১৪:১২ ২৪৩ বার পঠিত