
দেশের পশু-পাখিদের রোগ প্রতিরোধের লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের
আওতাধীন প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ হতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে
গবাদিপশুর জন্য এক কোটি ৮০ লাখ ডোজ এবং হাঁস-মুরগির জন্য আড়াই
কোটি লাখ ডোজ টিকা উৎপাদিত হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মোট ২
কোটি ৮ লাখ গবাদিপশু এবং ১১ কোটি ৯০ লাখ হাঁস-মুরগির চিকিৎসা
সেবা প্রদান করা হয়েছে। অন্যদিকে কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রমের আওতায় গরুর
জাত উন্নয়নের লক্ষ্যে সারাদেশে প্রতিবছর ৪২ লাখ ডোজ সিমেন সরবরাহ করা
হয়ে থাকে।
দুধের ঘাটতি পূরণে বিশ্বব্যাংকের সাহায্যে ৪ হাজার ২৮০ কোটি টাকা
ব্যয়ে চলমান রয়েছে। এমনকি
প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে
প্রান্তিক খামারিদের মধ্যে ৫ শতাংশ সুদে ২০০ কোটি টাকার ঘূর্ণায়মান
তহবিলের ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার খামারি এর সুফল
ভোগ করেছে। আমিষের পর্যাপ্ত উৎপাদন এবং দেশের জনগণের মাংস, দুধ ও
ডিমের চাহিদা পূরণের জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের অধীনে ২০টি প্রকল্পের
কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
দায়িত্বভার গ্রহণের পর প্রথমবার খামারবাড়িস্থ প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে
পরিদর্শনে এলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুকে
আজ এসব তথ্য জানানো হয়।
পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী অধিদফতরের
কর্মচারীদের সকল দ্বন্দ¦ ও বিভেদ ভুলে দেশের জনগণের উন্নয়নে কাজ করার
আহ্বান জানান। তিনি ফিডমিল ও মাংসের মূল্য কমানোর ওপর জোর দিয়ে বলেন,
ধনী-গরিব সবাই যাতে মাংস কিনে খেতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা
দুধেও স্বয়ম্ভর হয়ে তা বিদেশে রপ্তানি করতে চাই। মন্ত্রণালয়সহ সকল দফতর ও
সংস্থায় তিনি কোনো দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি দেখতে চান না বলেও মন্তব্য
করেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম ম-ল, অধিদফতরের
মহাপরিচালক হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার
ড. ইমরান হাসান খান, জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর এ এস এম নজরুল
ইসলাম বক্তৃতা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৬:০৫ ২০৬ বার পঠিত