
প্রস্টেট হলো সুপারির মতো মাংসপি-, যা পুরুষের মূত্রথলির গ্রীবার নিচে মূত্রনালি ঘিরে থাকে। এটির প্রধান কাজ বীর্যের তরল অংশ তৈরি করে শুক্রাণুর খাদ্যের জোগান দেওয়া। মূত্রনালির চারদিকে প্রোস্টেট গ্রন্থির মধ্যভাগে কোষ সংখ্যা বেড়ে মূত্রনালি চেপে ধরে। ফলে মূত্রথলি থেকে সহজে প্রস্রাব বের হতে পারে না। সাধারণত পুরুষের বয়স ৫০ বছর পার হলেই দেহের হরমোনে বেশি পরিবর্তন আসে। হরমোনের এ পরিবর্তনই প্রস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধির কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়। মার্কিন ক্যানসার সোসাইটি সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর প্রায় ২ লাখ মানুষ প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। এদের মধ্যে ২৭ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়। এ রোগের উপসর্গ হলোÑ ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব হওয়া, প্রস্রাব করার পরও প্রস্রাবের থলি খালি না হওয়া, প্রস্রাবের বেগ আটকে রাখা অসম্ভব হওয়া, প্রস্রাবের গতি দুর্বল হওয়া ও মাঝপথে বন্ধ হওয়া, প্রস্রাবের থলি বেশি ভরে গিয়ে ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব হওয়া ও প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া। প্রস্রাব একেবারে আটকে যাওয়া বা আটকানোর মতো হওয়া। হঠাৎ করে প্রস্রাব আটকে গেলে তলপেটে তীব্র ব্যথা ও প্রচ- প্রস্রাবের চাপ অনুভূত হওয়া। একটু সচেতন থাকলেই এড়ানো যায় প্রোস্টেট গ্রন্থির সমস্যা।
এ রোগ নির্ণয়ে বেশ কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। রোগ নির্ণয় করার পর চিকিৎসক নির্ধারণ করে থাকেন চিকিৎসা পদ্ধতি। কাজেই রোগের শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
লেখক : কনসালট্যান্ট, ইউরোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ সময়: ৯:২৮:৩৯ ২৯২ বার পঠিত