
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে
সম্পাদিত টিকফা চুক্তি অর্থবহ করতে বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়ানো
প্রয়োজন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি স্পেশাল
ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে, এগুলোর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এগুলোতে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। বিনিয়োগের জন্য সকল প্রকার
সুযোগ সুবিধা নিশ্চত করা হয়েছে। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার
বিনিয়োগকারীদের বিশেষ সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে। বাংলাদেশে এনার্জি,
পাওয়ার, শিপিং, এলএনজি এবং এয়ারলাইন্স সেক্টরে প্রায় ২ বিলিয়নের বেশি
মার্কিন বিনিয়োগ রয়েছে। এ বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধির সুযোগ
এসেছে। এতে করে উভয় দেশ লাভবান হবে।
মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন
রাষ্ট্রদূত ঊধৎষ জ. গরষষবৎ এর সাথে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের এসব কথা বরেন।
টিপু মুন্ধসঢ়;শি বলেন, বাংলাদেশে শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ ও নিরাপত্তায়
সুনির্দিষ্ট পরিবর্তন এসেছে। অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স ও ন্যাশনাল ইনেশিয়েটিভ
কারখানাগুলো পরিদর্শন করেছে। এখন পর্যন্ত ৯০ ভাগের বেশি কারাখানা পরিদর্শ
সম্পন্ন হয়েছে। তৈরি পোশাক কারখানাগুলো সংস্কার করা হয়েছে। বাংলাদেশে নতুন
নতুন গ্রিন ফ্যাক্টরি গড়ে উঠেছে। শ্রমিকদের মজুরি সময়োপযোগী করা হয়েছে।
সংগত কারণে তৈরি পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। এ সকল পণ্যের উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ
করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে
নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে
বিনিয়োগ বাড়ালে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানির সুযোগ পাবে। স্বাভাবিক নিয়মে
উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ব্যবধান কমে আসবে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সাথে মার্কিন যুক্তসাষ্ট্রের অর্থনৈতিক
ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বেশ ভালো। বাংলাদেশে মার্কিন বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে
কমার্শিয়াল কাউন্সিলয় নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন)
এস এম রেদওয়ান হোসেন, ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরী এবং
রপ্তানি শাখার অতিরিক্ত সচিব শরিফা খান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:২৯:২৯ ১৭৫ বার পঠিত