নগরীতে মঙ্গলবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা ইঁদুর বিরোধী প্রচারণা বাড়াতে অন্যান্যদের সঙ্গে স্কুল শিক্ষার্থীদের সন্বিবেশ করার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, ইঁদুর বছরে উৎপাদিত খাদ্য শস্য ও শাকসবজির প্রায় চার শতাংশই খেয়ে ফেলে। জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)’র আঞ্চলিক কার্যালয়ে বার্ষিক ইঁদুর নিধন অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএই’র উপ-পরিচালক দেব দুলাল ঢালী বলেন, ‘ইঁদুর আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য একটি হুমকি। আমরা সফলভাবে এই অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আমিনুল ইসলাম। তিনি এই ইঁদুর নিধন অভিযানে দেশের হাজার হাজার স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের পরামর্শ দেন।
তিনি ইঁদুর নিধন অভিযান সফল করতে ইন্টিগ্রেটেড কর্প ম্যানেজমেন্ট (আইসিএম) ও ইন্টিগ্রেটেড পেস্ট ম্যানেজমেন্ট (আইপিএম) সদস্যদের পাশাপাশি স্কুল শিক্ষার্থী ও অন্যান্যদেরকেও অভিযানে অংশ সম্পৃক্ত করার জন্য মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান। দেশের বার্ষিক খাদ্য উৎপাদন পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত বছর ৩ কোটি ৭২ লাখ ৬৬ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য শস্য এবং ৩০ লাখ ৬০ হাজার টন শাকসবজি উৎপাদিত হয়। এদের মধ্যে ইঁদুর প্রায় ১৫ লাখ টন শস্য নষ্ট করে।
ডিএই’র অতিরিক্ত পরিচালক মঞ্জুরুল হক অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি ইঁদুর নিধনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং এ ব্যাপারে সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। ডিএই’র অতিরিক্ত পরিচালক জয়নুল আবেদিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মঞ্জুরে মাওলা, মেট্রোপলিটন কৃষি কর্মকার্তা শালামা খাতুন, ফল গবেষণা স্ট্যাশনের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলিম উদ্দিন ও রিজিওনাল হর্টিকালচার রিসার্চ সেন্টারের উপ পরিচালক ড. সাইফুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০:১০:২৯ ৩৪৪ বার পঠিত