
১৯৭৬ সালের এ দিনে একুশে পদক প্রবর্তন করা হয়। একুশে পদক বাংলাদেশের একটি জাতীয় পুরস্কার। প্রতি বছর বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই পদক প্রদান করে থাকে। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে এই পদকের প্রচলন করা হয়। ভাষা আন্দোলন ১৯৫২ সালের পূর্ব পাকিস্তানের অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশর গুরুত্বপূর্ণ একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন। এই আন্দোলন পরবর্তীকালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীজ বপন করে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান গঠনের পর পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনীতিবিদরাই পাকিস্তান সরকারে প্রাধান্য পায়। পাকিস্তান সরকার ঠিক করে উর্দু ভাষাকে সমগ্র পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা করা হবে, যদিও পূর্ব পাকিস্তানে উর্দু ভাষার প্রচলন ছিলো খুবই কম। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাংলা ভাষাভাষী মানুষ এই সিদ্ধান্তকে মোটেই মেনে নিতে চায়নি। পূর্ব পাকিস্তানে বাংলাভাষার মর্যাদার দাবীতে শুরু হয় আন্দোলন। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল বের হয়। এ মিছিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ-এর কাছে এলে পুলিশ মিছিলের উপর গুলি চালায়। গুলিতে নিহত হন আব্দুস সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার সহ আরো অনেকে।
১৯৮৬ সালের এ দিনে ইংলিশ চ্যানেলের নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্সের মধ্যে স্থল পথে যোগাযোগের পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়। ইংলিশ চ্যানেলের নিচ নিয়ে চ্যানেল খোড়ার চেষ্টা করা হয়েছিলো সেই ১৮৮৩ সালে। এ ছাড়া নেপোলিয়ন ১৮০২ সালে এরকম একটি সুড়ঙ্গ করার পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন। তবে এই সুড়ঙ্গ পথ খোড়ার জন্য যে প্রযুক্তি দরকার তা বিংশ শতকের আগে বিকশিত হয় নি। ১৯৮৬ সালে এই টানেল নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এর পরের চার বছরে ১৩ হাজার কর্মী ৯৫ মাইল টানেল খনন করে। ১৯৯০ সালের ১ লা ডিসেম্বর কর্মীরা বৃটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে প্রাথমিকভাবে সংযোগ স্থাপনে সক্ষম হন। তবে টানেলের চূড়ান্ত কাজ শেষ হয় আরো চার বছর পরে। ১৯৯৪ সালের ৬ই মে আনুষ্ঠানিকভাবে টানেলের উদ্বোধন করা হয়। এই টানেল নির্মাণে ১৫০০ কোটি ডলার পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেল টানেল। বিশ্বের বৃহত্তম রেল টানেল হলো জাপানের সেইকান টানেল।
১৯০১ সালের এ দিনে মিশরের বিপ্লবী নেতা এবং প্রজাতন্ত্র মিশরের প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নগীব জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বর্তমান সুদানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কায়রোর সামরিক একাডেমিতে তিনি শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। পরবর্তীতে তিনি মিশরের সেনাবাহিনীতে জেনারেলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৫২ সালে তিনি সমমনা বেশ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার সহায়তায় মিশরের ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং মিশরের তৎকালীন বাদশাহ প্রথম ফারুককে দেশ ত্যাগে বাধ্য করেন। তবে এই সেনা অভ্যুত্থানের মূল নায়ক ছিলেন জামাল আবদুল নাসের। মিসরের সরকারী নাম মিসর আরব প্রজাতন্ত্র, উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার এবং দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার একটি প্রাচীন রাষ্ট্র। দেশটির বেশির ভাগ অংশ আফ্রিকা মহাদেশে অবস্থিত, কিন্তু এর সবচেয়ে পূর্বের অংশ সিনাই উপদ্বীপ,এশিয়ার অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করা হয়। সিনাই উপদ্বীপ এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে স্থলসেতুর মত কাজ করে। মিশরের অধিকাংশ এলাকা মরুময়। নীল নদ দেশটিকে দুইটি অসমান অংশে ভাগ করেছে। নীল নদের উপত্যকা ও ব-দ্বীপ অঞ্চলেই মিশরের বেশির ভাগ মানুষ বাস করেন।
২২ বছর ধরে কার্যকর থাকার পর ১৯৭৬ সালের এ দিনে সিয়াটো বা সাউথ এশিয়া ট্রিটি অরগানাইজেশন ভেঙ্গে দেয়া হয়। এশিয়া মহাদেশে মার্কিন শীতল যুদ্ধ পরিচালনার অন্যতম সংস্থা ছিলো সিয়াটো। আট সদস্য নিয়ে গঠিত এই সংস্থার অন্যতম সদস্য ছিলো পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন এবং যুক্তরাষ্ট্র। ভিয়েতনামে যুক্তরাষ্ট্রের শোচনীয় পরাজয় এবং পাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশের রক্তাক্ত অভ্যুদয়ের মাধ্যমে সিয়াটোর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে।
স্কটিশ নগরী ব্যর্থ স্কটল্যান্ডের রাজা প্রথম জেমস নিহত (১৪৩৭)
সায়াগোসার যুদ্ধে ফরাসিদের কাছে স্পেনীয়দের পরাজয় (১৮০৯)
অস্ট্রিয়ার নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা (১৮১১)
প্রথম মার্কিন নভোচারী জন এইচ গ্লেন জুনিয়র এর কক্ষ পথে অবতরণ (১৯৬২)
ইন্দোনেশিয়ায় জে. সুহার্তোর কাছে প্রেসিডেন্ট সুকর্নের সকল নির্বাহী ক্ষমতা হস্তান্তর (১৯৬৭)
বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একুশে পদক প্রবর্তন (১৯৭৭)
যুগোশ্লাভিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হতে স্লোভেনিয়ার পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোটে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত (১৯৯১)
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীর ১০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক বাস সার্ভিসে করে পাকিস্তান সফর (১৯৯৯)
বাংলাদেশ সময়: ১১:৩৪:৫৭ ১৮৯ বার পঠিত